বার্সাকে চোখের জলে কাঁদিয়ে সেমিতে রোমা

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : অবিশ্বাস্য! অসাধারণ! অকল্পনীয়! এই তিনটি শব্দ দিয়েও বোধহয় রোমার কীর্তিকে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। অলিম্পিক রোমা স্টেডিয়ামে ৮২ মিনিতে মানোলাস হেডে যখন গোল করলেন তখন যেন আনন্দের জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল রোমা স্টেডিয়াম। ওই গোলেই যে নিশ্চিত হয়ে যায় বার্সার চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়।

লিওনেল মেসিদের কাঁদিয়ে প্রথম লেগ ১-৪ গোলে হেরেও দ্বিতীয় লেগ ৩-০ গোলে জিতে অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে সেমিতে উঠে গেল রোমা। পিএসজির বিপক্ষে বার্সেলোনার ৬-১ গোলের ঐতিহাসিক এক কামব্যাকের মতোই রোমা এবার বার্সেলোনাকেই সেই রকম একটি পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিল।

ম্যাচের শুরু থেকেই বাজে খেলতে থাকে ভালভার্দের দল। ৪-৪-২ ফরমেশনে একদমই খাপ খাইয়ে নিতে পারছিল না মেসি-সুয়ারেজরা। যার দরুন ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথাতেই জেকোর গোলে এগিয়ে যায় রোমা। ২৬ মিনিটে জেকোর আরও একটি দূরপাল্লার শট গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। ৪১ মিনিটে বার্সেলোনা ফ্রি কিক পেলেও সেটিকে গোলে রূপান্তর করতে পারেননি লিওনেল মেসি।

বিরতি থেকে ফিরেও গোলের আরও সুযোগ তৈরি করতে থাকে রোমা। ৫৭ মিনিটে রোমার স্ট্রাইকার জেকোকে ডিবক্সের ভেতর পিকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় রোমা। সেখান থেকে গোল করে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন ড্যানিয়েল দি রসি। ২০১০ সালে ঘরে মাঠে বায়ার্নের সাথে গোল করার পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে এটি তার কেবলমাত্র দ্বিতীয় গোল।

০-২ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সার খেলায় পাওয়া যায়নি আগের সেই ধার। উল্টো ৮২ মিনিটে মানোলাসের গোলে বার্সেলোনার স্বপ্নভঙ্গ হয়। এই ম্যাচে একদমই নিষ্প্রভ ছিলেন বার্সেলোনার প্রাণভোমড়া লিওনেল মেসি। যখন দলের সবথেকে বেশি প্রয়োজন ছিল তাকে তখনই তিনি জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হলেন। এই হারের ফলে বার্সেলোনার ট্রেবল জয়ের স্বপ্নও ধূলিসাৎ হয়ে যায়।

Be the first to comment on "বার্সাকে চোখের জলে কাঁদিয়ে সেমিতে রোমা"

Leave a comment

Your email address will not be published.




5 × 4 =