নিউজ ডেস্ক : লিগ ওয়ানে টানা নয় জয়ের পর সাতে ইচেনার মাঠে হারতে বসেছিল পিএসজি। তবে শেষ মুহূর্তে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে কোনোমতে রক্ষা হয় শিরোপা জয়ের কাছে পৌঁছে যাওয়া উনাই এমেরির দল।
শুক্রবার লিগ টেবিলের নবম স্থানে থেকে খেলতে নামা ইচেনার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে শীর্ষে থাকা দলটি।
শিরোপার আরও কাছে যাওয়ার হাতছানিতে মাঠে নামা পিএসজিকে প্রথমার্ধে একেবারেই চেনা রূপে দেখা যায়নি। শুরুতে গোল হজম করার পাশাপাশি বিরতির আগে ১০ জনের দলে পরিণত হয় দলটি।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ছয় গজ বক্সে জটলার মধ্যে বল পেয়ে আলতো শটে জালে ঠেলে দেনে স্বাগতিক ফরোয়ার্ড রেমি কাবেলা। ৩১তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় পিএসজি। ফরাসি মিডফিল্ডার কাবেলার দুর্বল স্পট কিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক আঁলফুস আরিওলা।
৪৩তম মিনিটে দ্বিতীয় বড় ধাক্কাটি খায় অতিথিরা। তাদের ফরাসি ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিমপেম্বে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। নিজেদের খুঁজে না পাওয়ার হতাশাতেই কি-না, বিরতির আগে দুই মিনিটের ব্যবধানে অহেতুক ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন দলটির আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার হাভিয়ের পাস্তোরে ও ফরাসি ডিফেন্সিভ-মিডফিল্ডার লাসানা দিয়ারা।
এক জন কম নিয়ে হলেও দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গোছানো ফুটবল খেলতে দেখা যায় পিএসজিকে। তবে ৬২তম মিনিটে ফরাসি মিডফিল্ডার বাম্বা খুব কাছ থেকে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় এমেরির দল। ৭৪তম মিনিটে মরক্কোর ফরোয়ার্ড উসামা তান্নানের জোরালো শট ক্রসবারে লাগলে আরেক দফা বেঁচে যায় তারা।
দুই মিনিট পর ম্যাচের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন কিছুক্ষণ আগে পাস্তোরের বদলি নামা এদিনসন কাভানি। পাল্টা আক্রমণে বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন আনহেল দি মারিয়া। তাকে প্রতিহত করতে এগিয়ে যান গোলরক্ষক। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড সুযোগ বুঝে ডান দিকে কাভানিকে বল বাড়ান। কিন্তু ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন দলটির সর্বোচ্চ গোলদাতা।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে কাভানির আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন ইচেনা গোলরক্ষক। তবে শেষ পর্যন্ত জাল অক্ষত রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।
পরের মিনিটেই চরম ভুলটি করে বসে তারা। ডান দিক থেকে উড়ে আসা বল গোলমুখে ঠেকাতে গিয়েছিলেন ফরাসি ডিফেন্ডার মাথিউ দেবুচি। কিন্তু তার পায়ে লেগে বল চলে যায় জালে।
৩২ ম্যাচে ২৭ জয় ও তিন ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট ৮৪। ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা গতবারের চ্যাম্পিয়ন মোনাকো।
Be the first to comment on "শেষ মুহূর্তের আত্মঘাতী গোলে রক্ষা পিএসজির"