নিউজ ডেস্ক : সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা সত্বেও জনগণের মৌলিক চাহিদা বিশেষ করে নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য, নিরাপদ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, সুস্থ পরিবেশ ইত্যাদি এখনও নিশ্চিত হয়নি, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা-অব্যবস্থাপনায় এসব মৌলিক চাহিদা আজ হুমকির মুখে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগণের এসব মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণ করে প্রতিশ্রুত সেবা নিশ্চিত করা। কিন্তু রাষ্ট্র সে দায়িত্ব কতটুকু পালন করছে? শুধুমাত্র হাসপাতাল, ক্লিনিক স্থাপন করে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা, পানি, বায়ু, মাটি, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা, জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
পবা কার্যালয়ে ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পবা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের (নাসফ) সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, পবা’র সম্পাদক শামীম খান টিটো, ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ, সদস্য মোস্তারী বেগম, পল্লীমা গ্রীণ-এর সদস্য সচিব আনিসুল হোসেন তারেক, জনউদ্যোগ-এর সদস্য সচিব তারিক হোসেন, নাসফের আইন বিষয়ক সহ-সভাপতি মো. ওমর ফারুক, আইনজীবী এলিজা রহমান, সেতু সংঘ-এর প্রতিষ্ঠাতা মো. ইলিয়াস হায়দার, ডা. তাসনিয়া খান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমেই সবার জন্য সর্বত্র সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। শুধুমাত্র প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য, সুস্থ পরিবেশ, দূষণমুক্ত পানি ও বায়ু, মাদক ও তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, মাঠ, পার্ক, জলাধার, হাঁটার পথ ব্যবহার উপযোগিতার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা হিসাবে আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন, চিকিৎসক, সেবিকা, প্যারামেডিক্স ও অন্য সহযোগী নিয়োগ, তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানসম্মত দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে।
Be the first to comment on "দেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা এখনও নিশ্চিত হয়নি"