নিউজ ডেস্ক : থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের সড়কে চলন্ত বাসে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে মিয়ানমারের ২০ অভিবাসীর। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমারের ওই অভিবাসী শ্রমিকদের সীমান্তের একটি শহর থেকে ব্যাংককের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাসে আগুন ধরে যায়।
থাইল্যান্ডের টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাসটির ভেতরে অনেক যাত্রী আটকা পড়ে আছেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাক প্রদেশের দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন কেন্দ্রের কর্মকর্তা পোলাওয়াত সাপসংসুক বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে ২০ জনের। এছাড়া তিনজন আহত রয়েছে।
তাক প্রদেশের উদ্ধার কর্মী কিত্তিসাক বুঞ্চন বলেন, বাসটিতে মোট ৪৭ আরোহী ছিলেন। মিয়ানমার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তাক শহরে প্রবেশের সময় রাত ১টা ২৫ মিনিটে বাসটিতে আগুন ধরে। থাইল্যান্ডে অভিবাসী শ্রমিকের বড় একটি উৎস প্রতিবেশি মিয়ানমার।
মজুরি ও কাজের নিম্ন পরিবেশের কারণে থাইল্যান্ডে অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এছাড়া প্রায়ই এই শ্রমিকরা দুর্ঘটনার শিকার হন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, থাইল্যান্ডের সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত নিচু-মানের। প্রত্যেক বছর দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষের।
গত সপ্তাহে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি শহরে চলন্ত বাস গিয়ে আঘাত হানে রাস্তার পাশের গাছে। এতে অন্তত ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটে। পরে ওই বাসের চালক স্বীকার করেন, তিনি মাদক সেবনের পর বাসে উঠেছিলেন।
সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।
Be the first to comment on "থাইল্যান্ডে বাসে আগুন, মিয়ানমারের ২০ অভিবাসীর মৃত্যু"