নিউজ ডেস্ক : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা থেকে জালালাবাদ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসেছি। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ জনের নামোল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন; সেই মামলার অন্যতম আসামি সৈয়দ জুয়েম।
এদিকে বুধবার রাতভর উত্তেজনা ছিল শাহপরাণ হলে। হলের প্রধন ফটকে তালা দিয়ে ভেতরে অবস্থান নেয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন, সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারীরা। অন্যদিকে হলে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে অবস্থান নেয় সহসভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীরা।
হলে তালা দেয়ায় বাইরে থাকা অনেক সাধরণ শিক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারেনি। এ সময় তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, পরীক্ষা চলছে বলার পরও আমাদের হলে প্রবেশ করতে দেয়নি। এর প্রেক্ষিতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একদল শিক্ষক হলে প্রবেশ করতে চাইলে ভেতরে থাকা গ্রুপগুলো বাকবিতণ্ডা লিপ্ত হয়। প্রায় ১০ মিনিট পর ভেতর থেকে তালা খুলে দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষকরা। পরবর্তীতে কোনো সমাধান না করেই শিক্ষকরা হল ত্যাগ করেন।
শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, বহিষ্কৃত কোনো শিক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবে না।
অপরদিকে সাঈদ-সবুজের অনুসারীরা বলেন, আমরা হলের বৈধ শিক্ষার্থী। তারপরও আমাদের হলে প্রবেশে বাধা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন সাতকরা রেস্টুরেন্টে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাইদ আকন্দ ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে সহ-সভাপতি তারিকুল ইমলাম তারেকের অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এসএম আব্দুল্লাহ রনি নামের এক সাধারণ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাঈদ-সবুজসহ তাদের অনুসারী ১২ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করে। এছাড়া বিকেলে তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ জনের নামোল্লেখ করে আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
Be the first to comment on "শাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রেফতার"