বিধ্বস্ত ইরানি বিমানের ৬৬ যাত্রীই নিহত

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : ৬৬ যাত্রী নিয়ে উড্ডয়নের পরপরই ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম বেসরকারি বিমান সংস্থা অসিম্যান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। রবিবার স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটার দিকে রাজধানী তেহরান থেকে ইয়াসুগ শহরে যাওয়ার পথে বিমানটির সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা মেহের নিউজ অ্যাজেন্সি বলছে, তেহরান থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইয়াসুগ শহরগামী বিমানটির ৬৬ আরোহীর কেউই বেঁচে নেই।

ইরানি সংবাদমাধ্যম আইএসএনএ বলছে, বিমানটি সেন্ট্রাল ইরানের ইসফাহান প্রদেশের সেমিরন শহরের পার্বত্য অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে।

ইরান নিউজ নেটওয়ার্ক বলছে, দেশটির জরুরি মেডিকেল সার্ভিসের প্রধান পীর হোসেইন কুলিবন্দ বলেছেন, ইয়াসুগ শহর থেকে ১৮৫.৫ কিলোমিটার দূরে ইসফাহান প্রদেশের সেমিরনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

তবে প্রথমের দিকে বিমানটির আরোহী সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য দেয়া হয় দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। বেশ কিছু গণমাধ্যম বলছে, অভ্যন্তরীণ এ ফ্লাইটে ৬০ থেকে ১০০ জন আরোহী ছিলেন। প্রেস টিভি বলছে, বিমানটিতে ৬৬ জন আরোহী ছিলেন।

সেমিরনের স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, বিধ্বস্ত স্থানে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তীব্র কুয়াশা ও বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারছে না।

ইরানের জরুরি পরিসেবা বিভাগের মুখপাত্র মোজতবা খালেদি বলেছেন, স্থলপথে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা বিমান বিধ্বস্ত স্থান পরিদর্শন করেছেন। তারা বিমানটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান করছেন।

অসিম্যান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এটিআর-৭২ উড্ডয়নের ২০ মিনিট পর রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটায় তেহরান থেকে যাত্রা শুরু করে বিমানটি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে চারণভূমিতে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেছে। বিমান বিধ্বস্তের স্থানে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পীর হোসেইন কুলিবন্দ। তিনি বলেন, বিমানটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়ায় উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

Be the first to comment on "বিধ্বস্ত ইরানি বিমানের ৬৬ যাত্রীই নিহত"

Leave a comment

Your email address will not be published.




nineteen − fifteen =