নিউজ ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতির রায় ঘোষণার প্রতিবাদে কোনো লোক মাঠে নামেনি বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। শুক্রবার মাদারীপুরে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দুর্নীতির দায়ে আদালত যে রায় দিয়েছেন, তার প্রতিবাদে কোন মিছিল-মিটিং, প্রতিবাদ হয়নি। অথচ আমরা এরশাদবিরোধী আন্দোলনে কারফিউয়ের মধ্যেও আনন্দ সংগ্রাম করেছিলাম। এতেই প্রমাণিত হয় বাংলার মানুষ খালেদা জিয়ার সঙ্গে নেই। তিনি মানুষ হত্যা করেছেন, মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। তার দোষের সাজা হয়েছে, এতে বিএনপির আক্ষেপ করার কিছু নেই।’
বিএনপি তাদের নেত্রীকে বাঁচাতে হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু বিগত দিনে দেখেছি হাইকোর্ট অনেক সময় দুর্নীতির জন্যে সাজা বাড়িয়েছে। তার রায়ে সাজা বাড়াতেও পারে।’
মন্ত্রী এসময় এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাদারীপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে দেয়া ‘মিনি আর্টিফিশিয়াল টার্ফ’ উদ্বোধন করেন। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শোদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, সদস্য আমিরুল ইসলাম বাবু ও মাদারীপুর পুলিশ সুপার সরোয়ার হোসেন। পরে অতিথিরা মিনি আর্টিফিশিয়াল টাফ ঘুরে দেখেন। এসময় মাদারীপুরে ক্রীড়া অঙ্গনের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের সাজা দেয়া হয়। বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার সাজা কমানো হয় বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ রায় দেন। মোট ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের বিশেষ অংশ পাঠ করেন বিচারক।
Be the first to comment on "খালেদার রায়ের প্রতিবাদে মাঠে নামেনি কেউ : নৌমন্ত্রী"