বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে ইইউ

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : বিকেএমইএ’র সহযোগিতায় বহির্বিশ্বে ইমেজ তৈরিতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার বিকেএমইএ’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এ আশ্বাস দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত রেঁজে তিরিঙ্ক। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, অতীতের মতো ইইউ বাংলাদেশের নীট খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের নীট কারখানাগুলো কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে অবস্থায় উন্নীত হয়েছে তা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। আলোচনায় আধুনিক নীট কারখানা কমপ্লায়েন্স ইস্যু ও রানা প্লাজা পরবর্তী ইতিবাচক ইমেজ তৈরিতে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত রেঁজে তিরিঙ্ক।

এ সময় বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে বর্তমানে এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্ত জিএসপি সুবিধা (বিনাশুল্কে রফতানি) ২০২৪ সালের পরে বাংলাদেশের জন্য থাকবে না। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস (মোট পণ্যের দুই তৃতীয়াংশ শুল্ক সুবিধা পাবে) সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবে। কিন্তু এ সুবিধা পেতে হলে বাংলাদেশকে আইএও’র ২৭টি আন্তর্জাতিক কনভেনশন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে যা অনেক কষ্টসাধ্য। তাই বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে ইবিএ সুবিধা আগামী ১২ বছর অব্যাহত রাখতে ইইউ রাষ্ট্রদূতের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। নন-ট্যারিফ বাধা দূর করার জন্যও ইইউর রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করা হয়। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের কম সময়ের মধ্যে সহজে ভিসা প্রদানের অনুরোধ জানায় বিকেএমইএ ।

এ সময় জানানো হয়, বিকেএমইএ’র তত্ত্বাবধানে ২০২১ সালের মধ্যে কমপক্ষে ২০০টি কারখানাকে গ্রিন ইন্ডাস্ট্রিতে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনায় আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের জন্য ইউরোপীয়ান সহযোগিতা কামনা করা হয়। এক্ষেত্রে ইইউ-এর অনুদানকৃত ‘হরায়জন-২০২০’প্রকল্পে বিকেএমইএ’কে অন্তর্ভুক্ত করে নীট সেক্টরে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দক্ষতা উন্নয়নে সহযোগিতা করার জন্য ইইউ-এর কাছে প্রস্তাব করা হয়।

‘স্ট্রেনদেনিং বাই-ল্যাটারাল ট্রেড রিলেশনশিপ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’শীর্ষক এই আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইইউ’র ডেলিগেশনের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিল্প, প্রেস ও তথ্য বিভাগের প্রধান কন্সটেনটিনো ভারদাকিস, বিকেএমইএ’র দ্বিতীয় সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, পরিচালক মোস্তফা জামাল পাশা, আশিকুর রহমান, শেখ এইচ এম মোস্তাফিজ, মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, সাবেক সহ-সভাপতি (অর্থ) ও বর্তমান পরিচালক জিএম ফারুকসহ বিকেএমইএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Be the first to comment on "বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে ইইউ"

Leave a comment

Your email address will not be published.




twenty − six =