অর্থমন্ত্রীর ‘চিন্তা’ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে নিয়ে

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা অনেকে বেশি বললেও তা নিয়ে চিন্তার কিছু দেখছেন না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত; তার ‘চিন্তার’ বিষয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো।

 

সোমবার সচিবালয়ে নরওয়ের বিনিয়োগকারী সংস্থা নরফান্ডের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে দেশের ব্যাংক খাত নিয়ে কথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ব্যাংক খাত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ৪৮টি মার্চেন্ট ব্যাংক আছে, অনেকে বলছে এটি বেশি, তবে আমি এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নই।”

বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বাড়লেও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বলে অর্থনীতিবিদদের অনেকের অভিমত। যুক্তি হিসেবে বেশ কয়েকটি নতুন ব্যাংকের ধুকতে থাকার কথাও বলছেন তারা।

সর্বশেষ তিন বছর আগে ছয়টি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা গুরুত্ব পেয়েছে বলে অর্থমন্ত্রীই স্বীকার করেছেন। ওই ব্যাংকগুলোর বেশিরভাগ ধুকতে থাকার মধ্যেই আরও তিনটি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন তিনি।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি বেসিক ও সোনালী ব্যাংকের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকও ঋণ কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণকে বড় সমস্যা হিসেবে দেখার কথা জানিয়েছেন মুহিত।

তিনি বলেন, “আমাদের ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক রয়েছে, এর মধ্যে দুটিতে সরকার মেজর স্টেকহোল্ডার। এদের কর্মদক্ষতা খুবই কম। এখানে তারা নন পারফর্মিং লোন নিয়ে বড় সমস্যা রয়েছে।”

বাংলাদেশে ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।

২০১৫ সালে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ৯ শতাংশের (মোট বিতরণ করা ঋণের) নিচে ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে তা ১০ শতাংশ অতিক্রম করার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

মুহিত বলেন, ব্যাংক খাতের বিধি-বিধানগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক পদক্ষেপ নিচ্ছে।

নরওয়ের প্রতিনিধি দলের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত এবং অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।

২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নরওয়ের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেনও ছিলেন।

Be the first to comment on "অর্থমন্ত্রীর ‘চিন্তা’ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে নিয়ে"

Leave a comment

Your email address will not be published.




8 + 1 =