নিউজ ডেস্ক : দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ আগামী ২৭ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে সদ্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের বদলি হওয়া প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
রবিবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ তথ্য জানান। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩ জানুয়ারি তারানা হালিমকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে সরিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয়। আজ (রবিবার) তিনি নতুন দফতরে যোগ দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে তার সময়ে ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন তারানা হালিম। মোবাইল ফোন গ্রাহক, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবল, কলড্রপ, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন, মোবাইল নম্বর পোর্টাবিলিটি (এমএনপি) নিয়ে তার নানা উদ্যোগের বিষয়ে কথা বলেন তারানা।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের তারিখটি আমি সারপ্রাইজ হিসেবে রেখেছিলাম। দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার জায়গা থেকে বলছি যে, তাদের সর্বশেষ নির্ধারিত তারিখ বলেছিলেন ২৭ থেকে ৩১ মার্চ। এই তারিখের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষিপ্ত হবে। সব কার্যক্রম মোটামুটি সম্পন্ন করা হয়েছে।’
এর আগে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ এর উৎক্ষেপ সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু গত ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানান, আগামী মার্চের কোনো এক সময় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। উৎক্ষেপণের দায়িত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’। কিন্তু হারিকেন ‘ইরমা’র কারণে উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে অন্যান্য দেশের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণও বন্ধ হয়ে যায়।
Be the first to comment on "টেলিযোগাযোগের সাফল্য তুলে ধরলেন তারানা হালিম"