নিউজ ডেস্ক : নতুন বছরের শুরুতেই কার্গো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ইউকে ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট (ডিএফটি) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ডিএফটি ঘোষণা দিয়েছিল, বড়দিনের উপহার দেয়া হবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি।
গতকাল শুক্রবার এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, যুক্তরাজ্যের কাছে আমরা আবদার করেছিলাম নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারটি বড়দিনের উপহার হিসেবে দিতে। ইতোমধ্যে তারা তাদের কিছু অবজারভেশন দিয়েছে। তাদের চাওয়ার প্রতি আমরা অবশ্যই সম্মান দেখাবো। তবে আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন অবজারভেশনের ১০টি শর্তের বেশির ভাগই যুক্তরাজ্যের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার উল্লেখযোগ্য শর্ত হচ্ছে- ইউকে ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টের (ডিএফটি) দুজন পরামর্শক নিয়োগ দেয়া এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এভিয়েশন সিকিউরিটিতে ইউকে মডেল অনুসরণ করা ইত্যাদি।
রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা সেগুলোর জবাব দেবো নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে। তবে নতুন করে যে কোনো শর্তের আগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। কারণ আমরা ইতোমধ্যে যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি।
এদিকে যুক্তরাজ্যের পরামর্শ অনুযায়ী বিমানবন্দরে কিছু যন্ত্রপাতি স্থাপন হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ডুয়েল ভিউ এক্স-রে স্ক্যানিং মেশিন, ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন, লিকুয়িড এক্সপ্লোসিভ ডিটাকশন সিস্টেম (এলইডিএস), আন্ডার ভেহিকল স্ক্যানিং সিস্টেম (ইউভিএসএস), ফ্যাপ ব্যারিয়ার গেট উইথ কার্ড রিডার, ব্যারিয়ার গেট উইথ আরএফআইডি কার্ড রিডার, এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস), এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেকশন (ইটিডি) ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, কার্গো পরিবহনে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিমানের মুনাফায় প্রভাব পড়েছে। কার্গো পরিবহন খাতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিমান ৩৩ হাজার ৫৪২ টন মালামাল পরিবহন করে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ৪০ দশমিক ৯৩১ টন। আয় ছিল ৩১৫ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কার্গো খাতে বিমানের আয় হয় ২৪৪ কোটি টাকা।
Be the first to comment on "নতুন শর্তের আগে কার্গো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চান বিমানমন্ত্রী"