৪ নারীকে ধর্ষণ, এসআইয়ের ভাই রিমান্ডে

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে একই পরিবারের চার নারীকে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার মো. আব্দুল হান্নান (৪৫) ওরফে হান্নান মেম্বারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন আদালতে জমা দেন। শুনানি শেষে হান্নানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার বলেন, হান্নান মেম্বার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলে আসামি আবু সামার জবানবন্দিতে এসেছে। তাকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সেজন্য রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

বুধবার রাতে আব্দুল হান্নানকে নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় পুলিশের অফিসার্স কোয়ার্টার থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। আব্দুল হান্নানের ছোট ভাই পুলিশের এসআই আব্দুল মান্নান বর্তমানে সিএমপির বিশেষ শাখায় কর্মরত।

এদিকে, কর্ণফুলী থানায় আগে গ্রেফতার হওয়া আবুকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ভিকটিমের শনাক্ত করার কথা ছিল। তবে পিবিআই মামলার তদন্তভার নেয়ায় কর্ণফুলী থানা টিআই প্যারেড করছে না বলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) হারুন উর রশিদ হাজারী জানিয়েছেন।

এছাড়া কর্ণফুলী থানায় গ্রেফতার হওয়া তিনজনের সঙ্গে ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছে পিবিআই।

গত ১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে এক প্রবাসীর বাড়ির গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে ডাকাতরা। তারা ওই পরিবারের চার নারীকে ধর্ষণ করে এবং মালামাল লুটপাট করে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর তারা কর্ণফুলী থানায় মামলা দিতে গেলেও পুলিশ নেয়নি। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পুলিশ মামলা নেয়। দেরি করে মামলার নেয়ায় অনেক আলামত নষ্ট হয়ে যায়।

এরপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়ে চট্টগ্রামে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সংগঠন।

মামলা হওয়ার পর কর্ণফুলী থানার পুলিশ এ মামলার তদন্ত করছিল। মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। অবশ্য ঘটনার পর থেকে পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করেছিল।

Be the first to comment on "৪ নারীকে ধর্ষণ, এসআইয়ের ভাই রিমান্ডে"

Leave a comment

Your email address will not be published.




4 × 3 =