নিউজ ডেস্ক : প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পরই সোমবার থেকে আমরণ অনশন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা। বেতন স্কেলে বৈষম্য দূর করার দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত তিন দিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের আমরণ অনশন করছিলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে গিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের অনশন ভাঙান।
এর আগে সোমবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে মন্ত্রীর মিন্টো রোডের বাসভবনে যান শিক্ষক প্রতিনিধির ১২ জন সদস্য। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের মিন্টো রোডের বাসভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকের শিক্ষক প্রতিনিধি দলের একাধিক সদ্স্য বলেন, মন্ত্রী আমাদের বলেছেন তিনি আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো বিবেচনা করবেন।
শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, না খেয়ে দাবি আদায় করা সম্ভব না। দাবি-দাওয়া পূরণ করতে হলে আলাপ-আলোচনা করতে হয়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায় করা যায়।
গত ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের উদ্যাগে এ অনশন কর্মসূচি চলছে। মহাজোটের অধীনে সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের হাজার হাজার শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে যোগ দিয়েছেন অনশন কর্মসূচিতে। শিক্ষকদের এই আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এসে সংহতি জানাচ্ছেন।
তাদের দাবি, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এ বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।
Be the first to comment on "প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত"