নিউজ ডেস্ক : মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের করা তিন মামলায় দিলদারসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে বাকি দুই মামলার বিষয়ে আগামী জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে পরবর্তী আদেশের জন্য রাখা হয়েছে। এ দুই মামলায় জামিন না হওয়ার কারণে আপাতত মুক্তি মিলছে না মালিকদের।
জামিনের বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
এর আগে বুধবার শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেছিলেন আদালত। সে অনুযায়ী আজ এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে ২২ নভেম্বর আপন জুয়েলার্সের মালিকদের কেন জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের নামে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ। এরপরই বেরিয়ে আসে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে একে একে অভিযোগ। বর্তমানে কারাগারে থাকা সাফাতসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’ এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা।
মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ,গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়।
দুই মামলায় গত ২২ আগস্ট তিনভাই হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। এরপর বিচারিক আদালতে হাজিরা না দেয়ায় গত ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সেই থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।
Be the first to comment on "তিন মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জামিন"