নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর ডেমরা এলাকায় বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হওয়ার এক মামলায় চার জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন ট্রাইব্যুনাল। নিহতের নাম রানা।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার-৪ এর বিচারক আব্দুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাসুম, আল আমিন, শফিকুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর হোসেন। চারজনই পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হেলেন- মনির হোসেন ওরফে সন্ত্রাসী মনির ও বাবলা। মনির ও বাবলাকে একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
রায় ঘোষণার আগে মনির ও বাবলাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রানা ও আসামিরা বন্ধু ছিলেন। চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ২০০৯ সালের ৯ জানুয়ারি রানাকে আসামিরা ডেমরা থানার শুন্যটেংরা গ্রামের আব্দুল হালিমের বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলা ও নাভির উপরে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই রানার মৃত্যু হয়।
পরদিন ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এরপর তিনি অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মাসুদ ও আল আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা অপর আসামিদের নাম উল্লেখ করেন।
২০০৯ সালের ৩১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
Be the first to comment on "বন্ধুর হাতে খুন : চার জনের মৃত্যুদণ্ড"