নিউজ ডেস্ক : ঢাকার আফতাবনগর এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই যুবক বনানীর জনশক্তি রপ্তানিকারক সিদ্দিক হোসেন মুন্সী হত্যা মামলার সন্দেহভাজন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাড্ডা থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, শুক্রবার ভোরের দিকে আফতাবনগরের শেষ মাথায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আলামিন ওরফে পিচ্চি আলামিন এবং সাদ্দাম। তারা দুজন গত ১৪ নভেম্বর রাতে বনানীর ৪ নম্বর সড়কে এমএস মুন্সী ওভারসিজের মালিক সিদ্দিককে হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় বলে পুলিশের ভাষ্য।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার গোলাম সাকলাইন বলেন, সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে ভোরের দিকে তারা আফতাবনগরে অভিযানে যান।
সেখানে পাঁচ থেকে ছয়জন ছিল। পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে সেখানে আমরা দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাই, বাকিরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধারের কথাও বলেন গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ডিবি পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাড্ডা থানা পুলিশ গুলিবিদ্ধ দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সকালে দুইজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করলেও তখন তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি বাড্ডা থানার ওসি। আফতাবনগরে কী ঘটেছিল জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ডিবি পুলিশ এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবে।
আর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া বলেছিলেন, নিহতদের বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন ছিল।
গোয়েন্দা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার গোলাম সাকলাইন বিকালে ওই দুইজনের পরিচয় জানিয়ে বলেন, সিদ্দিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হেলাল উদ্দিনকে নিহত দুজনের ছবি দেখিয়েছিলেন তারা। হেলালই তাদের আলামিন ও সাদ্দাম হিসেবে শনাক্ত করেন।
হেলালকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, ১৪ নভেম্বর রাতে বনানীতে সিদ্দিককে হত্যা করতে গিয়েছিল ছয়জন। হেলাল ও আরেকজন ছিল বাইরে। বাকি যে চারজন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়, তাদের মধ্যে সাদ্দাম ও পিচ্চি আলামিন নামে দুজনকে পুলিশ শনাক্ত করেছে।
পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তার হেলাল উদ্দিন (৩০) একজন ভাড়াটে খুনি। তার বন্ধু ইউরোপে পালিয়ে থাকা ছাত্রদলের একজনের নির্দেশেই ব্যবসায়ী সিদ্দিককে হত্যা করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলাল বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানালেও সেই ছাত্রদল নেতার নাম-পরিচয় সেদিন প্রকাশ করেননি মনিরুল।
Be the first to comment on "আফতাবনগরে নিহত দুই যুবক সিদ্দিক হত্যার সন্দেহভাজন : পুলিশ"