নিউজ ডেস্ক : বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘অভিযোগগুলো এখনো তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। এখনো স্টাবলিশ (প্রমাণিত) হয়নি।’
এর আগে আজ (সোমবার) সকাল ৯টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে পৌঁছান বেসিক ব্যাংকের সাবেক এ চেয়ারম্যান। এরপর সাড়ে ৯টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়ে টানা তিন ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি কার্যালয় থেকে বের হন। এ সময় সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন আবদুল হাই বাচ্চু।
জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে সব অভিযোগগুলো তদন্তাধীন রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছে। আমি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব হয়েছে উত্তর দিয়েছি।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অভিযোগগুলো এখনো তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে, এখনো স্টাবলিশ (প্রমাণিত) হয়নি। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব হয়েছে ততটুকু তথ্য দিয়েছি। প্রয়োজন হলে আরও সহযোগিতা করব।’
এছাড়া বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় তাকে মূল হোতা বলা হচ্ছে – এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে চলে যান তিনি।
এর আগে সকালে দুদক কার্যালয়ে প্রবেশের সময় সাংবাদিকরা কাছে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। বলেন, ‘এসবের সঙ্গে আমি জড়িত নই।’
এদিকে দুদক সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বেসিক ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আবদুল হাই বাচ্চুর নাম আসে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় এবং আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৫৩ শতাংশ (৭ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা), যা যেকোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হারের চেয়ে বেশি। আবদুল হাই বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন বেসিক ব্যাংকের পর্ষদ ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ১১ মাসে বিভিন্ন ‘অনিয়ম’-এর মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বিভিন্নজনকে ঋণ দেয়া হয়।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের শেষ দিকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৭ কর্মকর্তা, ১১ জরিপকারী ও ৮১ ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে কোনো মামলাতেই আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি।
Be the first to comment on "অভিযোগগুলো এখনো তদন্তাধীন, প্রমাণিত নয় : বাচ্চু"