নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর নিয়োগ নিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নৌমন্ত্রীর চাচাতো ভাই ও মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য ফারুক খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া জানান, বিবাদী নজরুল ইসলাম ওরফে আসিফ নজরুল তার ফেসবুক আইডিতে দেয়া স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়োগ পরীক্ষায় ৯২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে, যার মধ্যে ৯০ জন নৌপরিবহন মন্ত্রীর এলাকা মাদারীপুরের বাসিন্দা। অথচ উনি চাইলে ৯২ জনই উনার এলাকার লোক হতে পারতো। দুইজন ভিন্ন এলাকার লোক নিয়োগ দিয়ে উনি সততার যে দৃষ্টান্ত দেখালেন তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’ এতে নৌমন্ত্রীর সম্মানহানি হয়েছে উল্লেখ করে ফারুক খান তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
গোলাম কিবরিয়া আরও জানান, মাদারীপুর আদালতে দায়েরকৃত মামলা নং ৪০০/২০১৭। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সমন জারি করেছেন।
এর আগে এই ঘটনায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়েরের জন্য গত মঙ্গলবার নৌমন্ত্রীর ভাগ্নে সৈয়দ আসাদ উজ্জামান মিনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করলে আদালত মামলাটি গ্রহণ করেননি। ওই মামলা প্রস্তুতিরও আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া। পরে বৃহস্পতিবার আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে বন্দরে নিয়োগের ঘটনা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষিতে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান সংসদকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর পদে ৯২ জন নয় চাকরি দেয়া হয়েছে ৮৫ জনকে। চাকরির বিধান অনুযায়ী এবং কোটা অনুসরণ করে চাকরি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৯ জনকে চাকরি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ২৩ জন, কক্সবাজারের চার জন, পার্বত্য চট্টগ্রামের দুইজন। এ ছাড়া নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ চাকরি পেয়েছেন। যদি জেলা কোটার কথা আসে, তবে আগামী ৩০ বছরের মধ্যেও চট্টগ্রামের কোনো কোটায় চাকরি পাওয়ার কথা নয়।
Be the first to comment on "আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে নৌমন্ত্রীর ভাইয়ের মামলা"