আধিপত্য বিস্তারের কারণেই সৌদি-ইরান প্রক্সি যুদ্ধ

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : উপসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য ধরে রাখার জন্য বছরের পর বছর ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে সৌদি আরব ও ইরান। ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি করার পরেও লড়াই থামেনি।

এদিকে লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। তবে গত ৪ নভেম্বর পদত্যাগের পর রোববার রাতে প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে এসে সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

ফিউচার টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে হারিরি বলেন, ‘সৌদি আরবে আমি সম্পূর্ণ স্বাধীন।’ তবে লেবাননের নাগরিকরা তো বটেই, হারিরির নিজের কর্মীরাও বলছেন, তিনি চাপে পড়ে পদত্যাগ করেছেন।

লেবাননের শিয়া মুভমেন্টের প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ বলছেন, চাপ প্রয়োগ করে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। লেবাননে ইরানের প্রভাব কমাতে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান হারিরিকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ দিতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

লেবানন আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক আমাদ সালেমি আল জাজিরাকে বলেন, লেবাননের ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদের সঙ্গে সৌদি আরবের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। হারিরির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক মোটামুটি ভালো।

তিনি আরও বলেন, লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সেই সম্পর্ককে নিশ্চয় ব্যবহার করতে চাইবে না সৌদি আরব। সৌদিতে ক্রাউন প্রিন্সের নেতৃত্বে সেখানকার ব্যবসায়ী ও রাজ পরিবারের সদস্যদের আটকের ব্যাপারেও কথা বলেছেন তিনি।

ক্রাউন প্রিন্স ক্ষমতার কেন্দ্রে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও মনে করেন সালেমি। সে কারণেই দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে এতোগুলো মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ইয়েমেন, সিরিয়া ও ইরাকের যুদ্ধে সৌদি আরব ও ইরান প্রক্সি দিয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করেন সালেমি। এবার কাতারের মতো লেবাননেও সৌদি জোটের অবরোধের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র : আল জাজিরা

Be the first to comment on "আধিপত্য বিস্তারের কারণেই সৌদি-ইরান প্রক্সি যুদ্ধ"

Leave a comment

Your email address will not be published.




3 × 1 =