মহানগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধিতে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি না করে ঢালাওভাবে ঢাকা মহানগরে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সংসদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। নির্বাচনের আগে এভাবে ট্যাক্স বৃদ্ধি করে ভোট নষ্ট করছে, ওরা কারা সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

সোমবার স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন পত্রি-পত্রিকার খবরের উদ্বৃতি দিয়ে কাজী ফিরোজ  রশিদ বলেন, নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই ৩শ’ এক হাজার শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে। এনিয়ে প্রতিদিন আন্দোলন, সংগ্রাম হচ্ছে। এটা নিয়ে একটা বিবৃতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্বাচন সামনে।

এই মুহুর্তে এভাবে ট্যাক্স বাড়ালো যারা তারা কী ভোট নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে? সরকারের মধ্যে ওরা কারা? এত বছর মনে পড়লো না ট্যাক্স বাড়ানোর কথা, অথচ নির্বাচনের সামনে ট্যাক্স বাড়িয়ে সমস্ত ঢাকা শহরকে অশান্ত করে দিয়েছে। এসময় তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ধানমন্ডি এলাকায় ৬টি থানায় রয়েছে। এখানকার বাড়ীওয়ালারা বলেছেন, বাস্তবসম্মত না হলে তারা কোন গৃহকর দেবেন না।

ট্যাক্স বাড়াতে হলে যারা ওয়াসার পানি নষ্ট করে গাড়ী ধৌত করছেন তাদের ট্যাক্স বাড়ানো হোক। সবাইকে মনে রাখতে হবে- ভোট তো তাদের হাতে। এখন ট্যাক্স বাড়ালেন অথচ ভোটের সময় তাদের কাছেই যেতে হবে। আমরা ধরতে না পারলেও তাদের (ভোটার) কাছে ধরা দিতে হবে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ঢাকা মহানগরীতে এখনো সম্পূর্ণ নাগরিক সুবিধা নেই। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে যায়। মশা, ডেঙ্গুজ্বর, চিকুনগুনিয়া, দূষিত পানি এরকম হাজারো সমস্যা রয়েছে। এসব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত না করে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে পারে না। এত হারে ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে যাতে যারা বছরে ৯ লাখ টাকা ট্যাক্স দিতে হতো, তার এখন দিতে হচ্ছে ৬৫ লাখ টাকা! এসব বলবো কার কাছে? আল্লাহ ছাড়া কাউকে বলার কিছু নেই। তবে আমরা না ধরলেও ধরবে কিন্তু জনগণ, ভোটাররা।

 

Be the first to comment on "মহানগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধিতে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ"

Leave a comment

Your email address will not be published.




16 + 17 =