নিউজ ডেস্ক : প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে মূল জেলায় আর খাতা পাঠানো হবে না।
এক জেলার পরীক্ষার খাতা অন্য জেলায় মূল্যায়ন করেই কোড নম্বরের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) সার্ভারে পাঠাতে হবে। এছাড়া মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন ও অভিযোগ করা যাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রতিবছরই সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে নম্বর কমিয়ে-বাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ আসে ডিপিইতে। প্রায় সব জেলার শিক্ষক-অভিভাবকরা এসব অভিযোগ দিয়ে আসছেন। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রাথমিক জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা, বহিষ্কারসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে ডিপিই। এ বিষয়টি আমলে নিয়ে জালিয়াতি বন্ধে খাতা মূল্যয়নে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে এক জেলার খাতা অন্য জেলায় মূল্যায়ন হলেও মূল জেলায় আর খাতা পাঠানো হবে না।
এ বিষয়ে ডিপিই’র মহাপরিচালক আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, খাতা মূল্যায়নে অনিয়ম-জালিয়াতি বন্ধে আমরা আগের পদ্ধতির পরিবর্তন এনেছি।
তিনি বলেন, এক জেলার পরীক্ষার খাতা অন্য জেলায় মূল্যায়ন করে তা আবার মূল জেলায় পাঠানো হলে নম্বর জালিয়াতির সুযোগ থেকে যায়। এ কারণে আগের পদ্ধতির পরিবর্তন আনতে আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাই। সেখান থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এখন থেকে নতুন পদ্ধতিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার ও অভিযোগ করার পদ্ধতি সহজ করা হচ্ছে। টেলিটক মোবাইল কোম্পানির সঙ্গে ডিপিই’র এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফলে মোবাইলের মাধ্যমেই খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন ও অভিযোগ করা যাবে।
উল্লেখ্য, ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে চলতি বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। শেষ হবে ২৬ নভেম্বর। এই দুই পরীক্ষায় প্রায় ২৮ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা। প্রতিবছরই নভেম্বরে এ পরীক্ষা হয় এবং ডিসেম্বরে ফল প্রকাশ করা হয়।
Be the first to comment on "প্রাথমিক-ইবতেদায়ি সমাপনীর উত্তরপত্র মূল্যায়নে পরিবর্তন"