নিউজ ডেস্ক : রেজিস্ট্রার (নিবন্ধন) সনদধারীদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে উপজেলা ও জেলা কোটা পদ্ধতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না -তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতের এ আদেশ স্পেশাল মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিবাদীদের নিকট পাঠাতে বলা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে শিক্ষা সচিব, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে হবে।
বুধবার এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। পরে রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
ইশরাত হাসান বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ-প্রত্যয়ন বিধিমালার ২০০৬ এর বিধি ৯-এর উপ-বিধি ২(গ) চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। জামালপুরের সেলিম রেজাসহ ১৭২ জন নিবন্ধন সনদধারী এ রিট দায়ের করেন।
২ এর(গ) তে বলা আছে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের উপজেলা, জেলা এবং জাতীয় ভিত্তিক মেধাক্রম অনুসারে ফলাফলের তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করা হইবে।
আইনজীবী আরও বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি কোটা পদ্ধতির কারণে মেধাবী অনেকেই চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটা সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২৯ অনুচ্ছেদের ১ এ বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে। আদালত শুনানি শেষে উপরোক্ত রুল জারি করেছেন।
Be the first to comment on "বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিলে রুল"