নিউজ ডেস্ক : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা- এ বক্তব্য এখনও ধারণ করেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, এটা তথ্যভিত্তিক। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ’৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে কোনো গণতন্ত্র ছিল না।
বৃ্হস্পতিবার রাজধানীর আরগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলেন কক্ষে এক প্রেস বিফ্রিং এ কথা বলেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শেষ হওয়া সংলাপের বিষয়ে আজকের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সামনে বসেছিলেন সিইসি।
গত ১৫ অক্টোবর বিএনপির সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে সিইসি বলেছিলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ভাল ভাল কাজ করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
ওই বক্তব্যের পর সিইসির পদত্যাগ চেয়েছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রেসিডেন্ট বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তাকে কম কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
আজকের প্রেস বিফ্রিংয়ে সিইসি বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন এটা এখনও ধারণ করি। ১৯৭৫ থেকে ’৭৭ পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র ছিল না। তার আগে ছিল। পরে জিয়াউর রহমান তা প্রতিষ্ঠা নয় পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কোনো দলকে খুশি করার জন্য নয়। এটা তথ্য ভিত্তিক কথা।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি। এ পর্যন্ত ৪০ টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি। এছাড়াও সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক নারী নেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সিইসি আরো বলেন, সংলাপে ৪০০টির মতো প্রস্তাব এসেছে। ডিসেম্বর মাসে এইসব সংলাপ বই আকারে প্রকাশ করা হবে। আর যে প্রস্তাবগুলো ইসির বাস্তবায়নের এখতিয়ার আছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। আইন পরিবর্তরে প্রস্তাবগুলো জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে। আর রাজনৈতিক বিষয়গুলো দলের কাছে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, সবদলকে নির্বাচনে আনার ব্যাপারে ইসি কোনো উদ্যোগ নেবে না। তবে বিএনপিসহ সব দল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আশা করেন সিইসি।
Be the first to comment on "জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা করেন : সিইসি"