নিউজ ডেস্ক :যশোরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাগলাদহ মালোপাড়ার এই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে। বাড়িটির মালিক মোজাফফর হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তথ্য পেয়ে সোমবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার পাগলাদহ গ্রামের ওই আধাপাকা বাড়ি তারা ঘিরে ফেলেন।
পরে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেনেডের ৩০টি খোল, ৫০টি সুইচ, পিস্তলের দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, বোমা বানানোর জেল ও ১০ লিটার রাসায়নিক, আধাকেজি পেরেকে, চারটি ছুরিসহ বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, বিরামপুর-পাগলাদহ গ্রামের সংযোগ সৃষ্টিকারী ব্রিজের কাছাকাছি ওই বাড়িটির অবস্থান। ঘটনাস্থলে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। বাড়ির মালিকসহ পরিবারের সদস্যরা জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।
প্রাথমিকভাবে তিনি জানান, বগুড়া ডিবি, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সদস্য, গোয়েন্দা পুলিশ, সোয়াট, যশোর পুলিশ এবং বিস্ফোরক ডিসপোজাল ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছয়-সাতটি টিম বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। সংবাদকর্মীরা বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে অবস্থান করছেন।
মোজাফফরের প্রতিবেশী বাবুল শেখের স্ত্রী রাজিয়া বেগম জানান, টিনসেডের তিনটি কক্ষের বাড়িতে মোজাফফর স্ত্রী ও তিন মেয়ে নিয়ে থাকেন। বাড়িতে কোনো ভাড়াটিয়া নেই। মোজাফফর ইমামতি করেন এবং তার স্ত্রী দর্জির কাজ করেন। তবে তাদের জঙ্গি কার্যক্রম বা সন্দেহজনক কোনো আচরণের তথ্য তিনি জানাতে পারেননি।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গোপনীয় শাখা) মুনিরুজ্জামান জানান, ওই বাড়ির মালিক মোজাফফর হোসেনকে তারা আটক করেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ঢাকা থেকে আসা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যদের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা ওই বাড়ি ঘিরে রেখেছেন।
Be the first to comment on "যশোরে জঙ্গি আস্তানা ঘেরাও, বিস্ফোরক উদ্ধার"