নিউজ ডেস্ক : ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কোনো বিভাগেই নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি বাংলাদেশ। লড়াইটা হলে তবু মনকে স্বান্ত্বনা দেয়া যেত, মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছে সেই সান্ত্বনাটুকুও নেই। বরং এই সফরকে ভয়াবহ এক সফর বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। এমন পারফম্যান্সকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন তিনি।
এই মাশরাফির অধীনেই বাংলাদেশ বিবেচ্য হচ্ছিল এশিয়া ক্রিকেটের নতুন পরাশক্তি হিসেবে। ওয়ানডেতে তার ক্ষুরধার নেতৃত্বে দল ভুরি ভুরি সাফল্য পেয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় গত এক বছরে টেস্টেও চোখে পড়ার মত উন্নতি দেখিয়েছে টাইগাররা। একটা সফরই যেন সব প্রাপ্তিকে ডুবিয়ে দিল পানিতে।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে উপমহাদেশের সব দলই সংগ্রাম করে। হারটা তাই অপ্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু কোনো ম্যাচে একেবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারবে না বাংলাদেশ, এতটা ভাবেননি কেউ। এমনকি টেস্ট সিরিজে টাইগারদের উড়িয়ে দেয়ার পরও প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা বলছিল, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অনেক ভালো দল।
মাঠের পারফম্যান্সে সেই ভালো দলের স্বীকৃতি মিলল কই? অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার বদলে যাওয়া বাংলাদেশই রীতিমত মুখ থুবড়ে পড়ল প্রোটিয়াদের সামনে। টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর প্রথম ওয়ানডেতে ১০ উইকেট, দ্বিতীয় ম্যাচে ১০৪ ও সিরিজের শেষ ম্যাচে ২০০ রানের হার, কোনোভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলবে না।
হারলেও প্রতি সফর থেকে কিছু প্রাপ্তি থাকে। তবে দলের এমন যাচ্ছেতাই পারফম্যান্সের পর প্রাপ্তির কথা বলতে যেন লজ্জাই পাচ্ছিলেন মাশরাফি। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘ওদের সঙ্গে তুলনা করলে সব জায়গায় আমরা পিছিয়ে ছিলাম। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারিনি। খুব বাজেভাবে ম্যাচগুলো হেরেছি। এটা আমাদের খুবই শিক্ষণীয় হলো।’
এই একটা সফরেই বাংলাদেশ খারাপ খেলেছে, এমনটাও মানতে নারাজ টাইগার ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। মাশরাফি মনে করছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই দলের আত্মবিশ্বাস নড়ে গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটাকে অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন তিনি, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকেই এটা হয়ে আসছে (বাজেভাবে হার)। এ বিষয়গুলো ঠিক না করলে সামনের সিরিজ-টুর্নামেন্টে ভালো করা কঠিন হয়ে যাবে। আমার কাছে মনে হয়, এই যে সময়টা গেল, এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অবশ্যই বিপৎসংকেত। এ থেকে খেলোয়াড়দের শিক্ষা নিতে হবে।
Be the first to comment on "টাইগারদের পারফম্যান্সে চিন্তিত মাশরাফি"