হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৭০

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াইশওয়াশের শঙ্কার মুখে পড়েছে টাইগাররা। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচেই টানা হেরেছে মাশরাফির দল। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে হলে বাংলাদেশকে টপকাতে হবে প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় বাংলাদেশের সামনে ৩৭০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

 

রবিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার দলনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। কুইন্টন ডি কক এবং টেম্বা বাভুমার গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ডু প্লেসিস ও অভিষিক্ত এইডেন মার্করামের ব্যাটে বড় নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৬৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে স্বাগতিকরা।

 

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৯১ রান করা ফাফ ডু প্লেসিস হ্যামস্ট্রিং চোট নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। এছাড়া ডি কক ৭৩, মার্করাম ৬৬, বাভুমার ৪৮, ফারহান বিহারদিয়েন ৩৩, ক্যাগিসো রাবাদা ২৩ ও এবি ডি ভিলিয়ার্স করেন ২০ রান।

 

বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। রুবেল হোসেন নেন একটি উইকেট।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ডি কক ও বাভুমার সেঞ্চুরি জুটিতে দারুণ শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে বাভুমাকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে টাইগার শিবিরে দিনের প্রথম সাফল্য এনে দেন অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ওই ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১১৯ রানের মাথায় তুলে মারতে গিয়ে লং অনে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন হাশিম আমলা বিশ্রামে থাকায় ওপেনিংয়ে প্রমোশন পাওয়া এই ব্যাটসম্যান।

 

এরপর ইনিংসের ২২তম ওভারে বোলিংয়ে এসে আবারও আঘাত হানেন মিরাজ। এবার তার শিকার আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান  ডি কক। ওভারের প্রথম বলে বোলারের কাছে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে দলকে মজবুত ভিত এনে দেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

 

পরপর দুই উইকেট হারালেও খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ডু প্লেসিস এবং মার্করামের মধ্যকার দারুণ জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্বাগতিকরা। এই দুজন গড়েন ১৫১ রানের দুর্দান্ত জুটি।

 

তবে সেঞ্চুরির পথে থাকা ডু প্লেসিস চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে ছোট একটা ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মাশরাফির করা ৪১তম ওভারের প্রথম বল ডিপ মিডউইকেটে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিতে গিয়ে বাম পায়ে চোট পান ডু প্লেসিস। লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও ঠিকমতো ওঠে দাঁড়াতে পারেননি প্রোটিয়া দলনায়ক।

পরে ফিজিও এবং কোচিং স্টাফদের সহযোগিতায় খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন ডু প্লেসিস। শেষদিকে সতীর্থ ডেভিড মিলার কাঁধে তুলে অধিনায়ককে নিয়ে হাঁটা দেন ড্রেসিং রুমের দিকে। ডু প্লেসিস মাঠ ছাড়ার পর ক্রিজে আসেন ডি ভিলিয়ার্স।

 

৪৩তম ওভার শেষে ৩০০ রান পূর্ণ করা দক্ষিণ আফ্রিকা ডি ভিলিয়ার্স ক্রিজে থাকায় ৪০০ ছুঁই ছুঁই সংগ্রহ গড়বে বলেই মনে হচ্ছিল স্বাগতিকরা। রুবেল ও তাসকিনের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। তবে শেষ দুই ওভারে ২৯ রান তোলে ঠিকই রান পাহাড় সম্পূর্ণ করেন রাবাদা ও বিহারদিয়েন।

 

চোটের কারণে এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে নেই নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবাল। তার বদলে দলে জায়গা পেয়েছেন সৌম্য সরকার। এছাড়া নাসির হোসেনের বদলে এই ম্যাচে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

 

অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করামের। প্রসঙ্গত, সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

Be the first to comment on "হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৭০"

Leave a comment

Your email address will not be published.




20 − five =