নিউজ ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ৩৭০ রানের টার্গেটে নেমে ৬১ রানেই বাংলাদেশ হারায় ৫ উইকেট। আগের দুই ম্যাচের সেরা পারফর্মার ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। বরং বাফেলো পার্কে অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে সাকিব আল হাসান পেলেন তার ক্যারিয়ারের ৩৫তম ফিফটি। ৩৫ ওভার শেষে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৩ রান।
শুরুতেই ইমরুল, লিটন দাস ও সৌম্য সরকারকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল সফরকারীরা। ২০ রানে তারা তিনজন ফেরেন সাজঘরে। এরপর ক্রিজে নেমে সাকিবের সঙ্গে মুশফিক প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে দ্রুত ফিরিয়ে আবারও সফরকারীদের চাপে ফেলে প্রোটিয়ারা। ৬১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ৪৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশের হাল ধরেছেন সাকিব ও সাব্বির রহমান। ৬৩ বলে ৬ চারে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। সর্বশেষ ৬৩ রানে আউট হলেন সাকিব। ভাঙল সাব্বিরের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি।
গত দুই ওয়ানডেতে আশা জাগানো ব্যাটিং করেছিলেন ইমরুল। কিন্তু মান বাঁচানোর শেষ ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরার আগেই ফেরেন বাংলাদেশি ওপেনার। প্রথম ওভারে কাগিসো রাবাদার তোপ সামলে পাঁচ বল খেলে ১ রান করেছিলেন ইমরুল। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইকিং প্রান্তে গিয়ে ডেন প্যাটারসনের শিকার তিনি। অফসাইডের বাইরে দিয়ে আসা বল ব্যাটের বেশ খানিকটা উপরে লেগে মিড অফে ফারহান বেহারডিয়েনের হাতে ধরা পড়ে। মাত্র ১ রানে আউট ইমরুল।
প্যাটারসন পরের ওভারে লিটন দাসকে এলবিডাব্লিউ করেন। তিনি করেন মাত্র ৬ রান। রাবাদা তার তৃতীয় ওভারে সৌম্যকে (৮) বানান এইডেন মারক্রামের ক্যাচ। ক্রিজে থেকে প্রতিরোধ গড়েছিলেন মুশফিক ও সাকিব। তবে অ্যান্ডিল ফেলুকোয়াইয়োর বলে তাদের জুটি ৩১ রানের বেশি হয়নি। প্রথম দুই ম্যাচে অপরাজিত ১১০ ও ৬০ রান করা মুশফিক শেষ ম্যাচে মাত্র ৮ রানে রাবাদার হাতে ক্যাচ দেন। সাকিবকে ক্রিজে সঙ্গ দিতে নেমে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট পান উইলেম মুলডার। ২ রানে মাহমুদউল্লাহকে এলবিডাব্লিউ করেন এ পেসার।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নামলে আবারও বাংলাদেশি বোলাররা ব্যর্থতার পরিচয় দেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় মাশরাফি মুর্তজারা বল হাতে ভালো কিছু করতে পারলেন না শেষ ওয়ানডেতেও। অবশ্য ডেথ ওভারে আবারও সাফল্য পেয়েছে তারা। ৪৬ ও ৪৭তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ব্যাটসম্যানকে ফেরান তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন। কিন্তু ১০০ ছাড়ানো দুটি শক্ত জুটিতে দ্বিতীয় ওয়ানডের চেয়েও সমৃদ্ধ হয়েছে প্রোটিয়াদের স্কোরবোর্ড। রবিবার বাফেলো পার্কে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩৬৯ রান করে স্বাগতিকরা।
Be the first to comment on "ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝে সাকিবের হাফসেঞ্চুরি"