কিরকুকে ইরাকি বাহিনী-কুর্দি যোদ্ধাদের সংঘর্ষ

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : কুর্দি অধিকৃত এলাকা কিরকুকে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে ইরাকের সেনাবাহিনী। কুর্দি এবং ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, কিরকুকের একটি তেলক্ষেত্র ও কৌশলগত সামরিক ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হচ্ছে সেনাবাহিনী।

লে. কর্নেল সালেহ আল-কিনানি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, কে১ বিমানঘাঁটি এবং কিরকুকের পশ্চিমাঞ্চল দখল করে নেয়ার উদ্দেশ্যে সোমবার সকালেই তারা রওয়ানা দিয়েছেন।

ইরাকের রাষ্ট্র সম্প্রচারিত টেলিভিশনে জানানো হয়েছে, কুর্দিদের সামরিক বাহিনী পেশমার্গা’র কোনো রকম প্রতিরোধ ছাড়াই কিরকুক শহরের বাইরের এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেশ কিছু জায়গা দখল করে নিয়েছে ইরাকের সেনাবাহিনী।

তবে ইরাকের সেনাবাহিনী কিরকুক শহরের কিংবা পেশমার্গা থেকে কোনো অঞ্চল দখলে নেয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন একজন কুর্দি নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি রয়টার্সকে জানান, তেলক্ষেত্র এবং বিমানঘাঁটি এখনও কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

কুর্দিস্তান আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিষদ (কেঅারএসসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পেশমার্গা বাহিনীর উপর তাজা-কিরকুক এবং মরিয়াম বাগ ব্রিজ থেকে আক্রমণ চালানো হয়েছে। মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে হামলা চালানো হচ্ছে; অস্ত্রের মধ্যে হাব্রাম ট্যাঙ্ক এবং হাম্ভিসও রয়েছে।

অভিযানের অংশ হিসেবে কিরকুকের দক্ষিণ-পশ্চিমের মকতব খালিদ এলাকায় সেনা মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। তবে কুর্দি বাহিনীর দাবি, তারা ইরাকের সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত পাঁচটি মার্কিন হাম্ভিস ধ্বংস করে দিয়েছে।

কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের (কেআরজি) প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানির জ্যেষ্ঠ সহকারী হেমিন হাওরামি এক টুইট বার্তায় জানান, পেশমার্গা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া অাছে, যাতে তারা কোনো ধরনের যুদ্ধে না জড়ায়। তবে কোনো সন্ত্রাসী যদি তাদের ওপর গুলি চালায়, তারপর তারা সব রকম অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পাবে।

ইরবিল থেকে আল জাজিরার চার্লস স্টার্টফোর্ড জানান, কিরকুক অভিযানে জীবিত শেষ সেনাকেউ লড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিরকুকের কুর্দি গভর্নর আহ্বান জানিয়েছেন, শহরের সকল বাসিন্দারা যেন হাতে অস্ত্র তুলে নেয়। তিনি জানান, প্রত্যেকে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে শহরকে বাঁচান।

২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর হামলার মুখে কিরকুক ছেড়ে পালিয়ে যায় ইরাকের সেনাবাহিনী। এখন পেশমার্গা যোদ্ধাদের হাত থেকে পুনরায় তেলক্ষেত্র এবং বিমানঘাঁটি দখল নিতে চায় তারা।

তবে কিরকুক কুর্দিদের স্বশাসিত এলাকা নয়। গত মাসে কিরকুকের স্বাধীনতার উদ্দেশ্যে গণভোট হয়েছে। তাতে স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন কিরকুকের বাসিন্দারা।

এরপর ইরাকের সরকার সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চাইলে তা নাকচ করে দেন কুর্দিরা। চরম উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার সকালে কিরকুকে সেনা অভিযান শুরু করেছে ইরাক।

সূত্র : আল জাজিরা

Be the first to comment on "কিরকুকে ইরাকি বাহিনী-কুর্দি যোদ্ধাদের সংঘর্ষ"

Leave a comment

Your email address will not be published.




nine − seven =