নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের রানটা জয়ের জন্য কম ছিল নি:সন্দেহে। তাই বলে বোলিংয়ে এতটা অসহায় আত্মসমর্পণ!
নিষ্প্রাণ উইকেটে একদমই ধারহীন বোলিংয়ে লড়াইও করতে পারল না বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ শেষ করে দিল উদ্বোধনী জুটিতেই। জিতে গেল ৪৩ বল বাকি রেখেই।
নানাভাবে চেষ্টা করলেও বাংলাদেশের বোলাররা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপে একটুও আঁছড় ফেলতে পারেননি। একটি উইকেটও ঝুলিতে পুরে নিতে পারেননি। উল্টো বাংলাদেশের বিপক্ষে উদ্বধোনী জুটিতে ২৮২ রান করে, আগের ১৫৮ রানের রেকর্ড ভাঙ্গেন আমলা- ডি কক। দু’জনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির স্বাদ। হাশিম আমলা করেছেন ১১০, আর ডি কক করেন ১৬৮ রান।
বাংলাদেশ রান আরেকটু বেশি করলে হয়ত উদ্বোধনী জুটির বিশ্বরেকর্ডও হয়ে যেত! ২৮৬ রানের রেকর্ড সনাৎ জয়াসুরিয়া ও উপুল থারাঙ্গা জুটির।
টেস্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার পর, ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বড় ব্যবধানেই হারতে হয়েছে মাশরাফি বাহিনীকে। দুই প্রোটিয়া ওপেনারের রেকর্ড পার্টনারশিপে ১০ উইকেটের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার ডি কক এবং হাশিম আমলার সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা সাতজন বোলার এনেছিলেন বোলিংয়ে, তবুও কোন উইকেটের দেখা পাননি। উল্টো টাইগার বোলারদের দুন্ধুমার মার মেরেছেন আমলা-ডি কক।
১১২ বল মোকাবেলা করেন হাশিম আমলা। ৮টি বাউন্ডারি মেরে রান করেছেন ১১০। ডি কক মোকাবেলা করেন ১৪৫ বল। ২১টি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ২টি। চার পেসারের (মাশরাফি, রুবেল, তাসকিন এবং সাইফউদ্দিন) সঙ্গে তিন স্পিনার (সাকিব, মাহমুদউল্লাহ এবং নাসির) ব্যবহার করেও কোনো উইকেটের দেখা পেল না বাংলাদেশ।
এর আগে কিম্বার্লির ডায়মন্ড ওভালে নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভেঙেছিল বাংলাদেশ। এই মাঠে আগে দুই ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৯৮। এবার সব ছাড়িয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান করে বাংলাদেশ।
টেস্ট সিরিজে একের পর এক সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছিলেন মুশফিকুর রহীম। ভুল সিদ্ধান্ত, ম্যানেজমেন্ট এবং দল নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জের ধরে নেতৃত্ব হারানোর পর্যায়ে পর্যন্ত চলে এসেছিলেন তিনি। তবে মাঠের বাইরের আলোচনা-সমালোচনা বাইরে কিভাবে রাখতে হয় সেটা খুব ভালোভাবেই দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক। খেললেন হার না মানা ১১০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ১১৬ বলে খেলা ইনিংসটি তিনি সাজালেন ১১টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কায়।
এছাড়া ইমরুল কায়েসের ৩১, সাকিবের ২৯, লিটনের ২১, মাহমুদউল্লাহর ২৬ রানের ইনিংসগুলো বাংলাদেশকে মোটামুটি একটা সম্মানজনক স্কোর গড়তে সহায়তা করে।
Be the first to comment on "বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রোট্রিয়দের সহজ জয়"