নিউজ ডেস্ক : গাজীপুর জেলার বেদখল হওয়া খাস জলাশয় ও পুকুর পুনরুদ্ধার করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুনরুদ্ধারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং খাস জলাশয়ের তালিকা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন।
‘সরকারি পুকুর ভরাট করে দখলের হিড়িক’ শিরোনামে আজ প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়, এই প্রতিবেদনটি নজরে এনে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুল দেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা। রুলে ৩০ দিনের মধ্যে কেন গাজীপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত খাস পুকুর, জলাশয়, যেগুলো বেদখল হয়েছে বা বেদখলের পাঁয়তারা চলছে, তার তালিকা এবং তালিকাভুক্ত ৩৮৪টি পুকুর, আরও যদি খাস জলাশয় থাকে, যেগুলো বেদখল হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার করতে ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার সচিব, ভূমিসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পরিবেশসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ১২ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আদালত।
গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার খাস পুকুরগুলো দখল ও ভরাট করার রীতিমতো হিড়িক পড়ে গেছে। যাঁরা পুকুর ভরাট করছেন, তাঁদের তালিকায় রয়েছেন সরকারি দলের পরিচয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, বর্তমান ও সাবেক স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। কেউ কেউ পুকুরগুলো মাছ চাষের অযোগ্য দেখিয়ে ইজারা নিয়ে ভরাট করে ঘরবাড়ি করেছেন। আবার পুকুর ভরাট করে বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরি করারও নজির রয়েছে। জেলা প্রশাসনের করা সর্বশেষ তালিকায় দেখা গেছে, জেলায় মোট খাস পুকুরের সংখ্যা ৩৮৪। এর মধ্যে শহর ও এর পাশে ৪৬টি খাস পুকুর ভরাট করা হয়েছে।
Be the first to comment on "খাস জলাশয় ও পুকুর পুনরুদ্ধার করতে হাইকোর্টের নির্দেশ"