নিউজ ডেস্ক : ‘হেমানজিওমা’ রোগে আক্রান্ত শিশু মুক্তামনির হাতে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ১০টায় তার অস্ত্রোপচার শেষ হয়। তাকে এখন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৮টায় মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রোপচার শেষে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তাকে ওটি থেকে বের করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ও মুক্তামনির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, নতুন চামড়া লাগানোর জন্য মুক্তামনির হাতটি উপযুক্ত করা হয়েছে। এটা তার সুস্থ হওয়ার প্রথম ধাপ। সে এখন ভালো আছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তামনির অস্ত্রোপচার করা হয়। এর আগে গত ২৯ আগস্ট বার্ন ইউনিটে তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। ২০ শতাংশের মতো শেষ হওয়ার পর জ্বর আসায় অস্ত্রোপচার মুলতবি রাখা হয়।
গত ১২ আগস্ট প্রথম দফায় ১১ বছরের শিশু মুক্তামনির ডান হাত অক্ষত রেখেই দু’ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারের পর ফের অস্ত্রোপচার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন ডা. সামন্ত লাল সেন।
সেবার তিনি বলেছিলেন, মুক্তামনির হাত থেকে তিন কেজির মতো বাড়তি মাংস অপসারণ করা হয়েছে। টিউমার অপসারণে ফের কয়েকদফা অস্ত্রোপচার করতে হবে।
গত ২৭ জুলাই ভিডিওতে মুক্তামনিকে ও তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন দেখেন এবং ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বোর্ড মিটিং করেন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা।
পরে ই-মেইলে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালটি জানিয়েছিল যে, ‘রোগটি ভালো হওয়ার নয় ও সেটি অস্ত্রোপচার করার মতোও নয়’।
এ পর্যবেক্ষণ জানার পর গত ০২ আগস্ট ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সভায় ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে বায়োপসি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সে অনুসারে গত ৫ আগস্ট সফলভাবে মুক্তামনির বায়োপসি অপারেশন সম্পন্ন হয়।
বায়োপসি রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানতে পারেন, রক্তনালীতে টিউমার বা ‘হেমানজিওমা’ রোগে
Be the first to comment on "মুক্তামনির হাতে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন"