নিউজ ডেস্ক : নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬০ হাজার ৯৫০ জন বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের ছাপ) পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদফতর এ নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
মঙ্গলবার কুতুপালং ক্যাম্পে দুই হাজার ৩৭ জন পুরুষ ও ৮৬৩ জন নারীসহ মোট দুই হাজার ৯০০ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে এক হাজার ৪৯৫ জন পুরুষ ও এক হাজার ৩৫৯ জন নারীসহ মোট দুই হাজার ৮৫৪ জন, থাইংখালী ক্যাম্পে এক হাজার ৩১৫ জন পুরুষ ও ৫৭৩ জন নারীসহ মোট এক হাজার ৮৮৮ জন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছেন। সারাদিনে তিনটি কেন্দ্রে মোট সাত হাজার ৬৪২ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
অপর তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে মঙ্গলবার ৫২ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দেয়া ৯৬টি ট্রাকের মাধ্যমে ১৫৭ মেট্রিক টন ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রাপ্ত ও বিতরণকৃত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ২০ হাজার ৩২৫ প্যাকেট শুঁকনো খাবার, সাত হাজার ৭২০ প্যাকেট শিশু খাদ্য, চার হাজার ৫০০ প্যাকেট রান্না করা খাবার, ৪০০ পিস পোশাক ও দুই হাজার ৪৫০ পিস গৃহস্থালি সামগ্রী।
মঙ্গলবার পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তিনটি গুদামে বিতরণের পর ৩৯৫ টন চাল, ১২৭ টন ডাল, ৯৭ হাজার ১৯৮ লিটার তেল, ৬৪ হাজার ৭১৫ কেজি লবণ, ৮৭ টন চিনি, ১০ হাজার কেজি আটা/ময়দা, এক টন গোল আলু, ৭৭ হাজার ৫৪৬ কেজি গুঁড়ো দুধ, চার হাজার ৭৫ কেজি মুড়ি, ১৯ হাজার ৬০০ পিস কম্বল এবং ২০টি তাবু ও ত্রিপল মজুদ রয়েছে।
জাতিগত নিপীড়নে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের কয়েক লাখ রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছেন। সম্প্রতি মিয়ানমারের সীমান্তে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেক পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। তখন থেকে রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন ও এদের সবধরনের মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
Be the first to comment on "বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ৬১ হাজার রোহিঙ্গা নিবন্ধিত"