রোহিঙ্গা সমাধান না করে নোবেলের পেছনে ব্যস্ত আ.লীগ : আলাল

নিউজ ডেস্ক : বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পারছে না আওয়ামী লীগ। তবে ঠিকই নোবেলের পেছনে ছোটাছুটিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দলটি।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ‘সারাদেশে শিশু হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. শেখ সাদির সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, নোবেলের পেছনে ছোটাছুটি করে কোনো লাভ নেই। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এমন বিশাল কোনো বিজয় অর্জন করেনি যে এয়ারপোর্ট থেকে গণভবন পর্যন্ত ঢাকার সমস্ত রাস্তা আটকিয়ে যানজট সৃষ্টি করে মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলতে হবে। তাকে সম্মাননা দেয়া আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত।

আলাল বলেন, আওয়ামী লীগ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের চেয়ে নোবেল পাওয়ার জন্য বেশি ব্যস্ত রয়েছে। তিনি যদি নোবেল পান আমরা তো খুশি, ড. ইউনূস অতীতে পেয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক আমরা খুশি হয়েছিলাম। যদি প্রধানমন্ত্রী পান তাতেও খুশি হব। কিন্তু একটা জায়গায় খটকা লাগে আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ এক সময় বলেছিলেন স্যান্ডউইচ খাওয়ালে আর কিছু নগদ অর্থ দিলে নাকি নোবেল পাওয়া যায়। এখন তার কাছে আমার প্রশ্ন আপনাদের নোবেল কোন পথে?

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা অপব্যবহারের কারণে মানুষের মূল্যবোধ নষ্ট হয়ে গেছে। আজকে বিশ্ব শিশু দিবস, এই শিশু দিবসে প্রধানমন্ত্রী যদি দেশে থাকতেন তিনি একটা জায়গায় আলোচনা সভা করতেন সভায় দাঁড়িয়ে শুধু শেখ রাসেলের কথা বলে কান্নাকাটি করতেন। অর্থাৎ তার ভাই শিশু রাসেল তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল যে হত্যার আমরা তীব্র বিরোধীতা করি প্রতিবাদ করি সমাবেদনা জানাই দোষীদের বিচারও হয়েছে এই শিশু রাসেল বাদে বাংলাদেশের আর কোনো শিশু ওনার চোখে পড়ে না। আওয়ামী লীগ নেতাদের চোখে পড়ে না।

তিনি আরও বলেন, যে কারণে রাসেলের সৃষ্টি হয়, রাজনের সৃষ্টি হয়, যে কারণে সম্প্রতি দুটো শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব বিকৃত অপরাধগুলো তখনই হয় যখন দেশে কোন আইনের শাসন থাকে না। এটা তখনই হয় যখন সরকারি দলের নেতাকর্মীরা অপরাধ করেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বের হয়ে যায়।

আওয়ামী লীগের আমলে দেশে আইনের শাসন থাকে না নানা উল্লেখ করে আলাল বলেন, ভোট ছাড়া নির্বাচিত হলেও কিছু দায়িত্ব তো থাকেই। কিন্তু গুম, খুন হত্যা সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে এ সরকার। যে কারণে জনগণের হৃদয়ের হাজার হাজার মাইল দূরে সরে গেছে সরকার। এ দূরত্ব কমানোর পথ একটাই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুদ্দিন এহিয়া খান, মজলিস সারোয়ার, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈশা, জিনাফের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, গণসংস্কৃতি দলের সভাপতি এস আল মামুন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন রনি, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রহিম প্রমুখ।