জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন মুশফিক

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : ৪২৪ রানের লক্ষ্যে পচেফস্ট্রুম টেস্টে ৯০ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তামিম-মুশফিকরা সর্বশেষ এক শ রানের নিচে অলআউট হয়েছিলেন দশ বছর আগে, সেই ২০০৭ সালে। পি সারায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৬২ রানে। ২০০৭ সালের বাংলাদেশের সঙ্গে এই বাংলাদেশের নিশ্চয়ই পার্থক্য আছে। কিন্তু সেই পার্থক্যের প্রতিফলন পচেফস্ট্রুমে দেখা গেল কোথায়? এই পরাজয়ে লজ্জিত মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক ক্ষমাই চাইলেন জাতির কাছে।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় যে চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ, প্রতিটি হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। এবার সেটি না হলেও চতুর্থ ইনিংসে এভাবে গুটিয়ে যাবেন মুশফিকরা, সেটা কে ভেবেছিল! গত তিন বছরে যে পারফরম্যান্স, তাতে বলা হচ্ছিল, বদলে যাওয়া এই বাংলাদেশ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে লড়াইটা অন্তত করবে। পচেফস্ট্রুমে লড়াই দূরে থাক, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উল্টো প্রথমবারের মতো ১০০ রানের নিচে অলআউটের লজ্জা যোগ হয়েছে।
দলের এই পারফরম্যান্সে মুশফিকের মুখে স্বাভাবিকভাবেই হতাশার আঁকিবুঁকি, ‘সর্বশেষ বাংলাদেশ এমন ব্যাটিং করেছে কবে, ভুলেই গিয়েছি! খুবই খারাপ লাগছে। অনেকভাবে হারা যায়। আমাদের অন্তত দুই সেশন খেলার সামর্থ্য ছিল। আরেকটি সুযোগ আছে পরের টেস্টে। দুর্দান্তভাবে এগোতে হবে। না হলে এমন লজ্জা ছাড়া আর কিছুই নিয়ে ফিরতে পারব না।’
পচেফস্ট্রুমে বাজে খেলায় ক্ষমা চাইলেও ৬ অক্টোবর ব্লুমফন্টেইনে শুরু সিরিজের শেষ টেস্টে তাই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা মুশফিকের, ‘এখনো মনে করি, ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট ভালো ছিল। ব্যাটসম্যানরা তাঁদের দক্ষতা দেখাতে পারেননি। অধিনায়ক হিসেবে আমি খুবই হতাশ, ভীষণ খারাপ লাগছে। অন্তত লড়াই তো করতে পারতাম। ক্ষমা চাইছি জাতির কাছে। আমাদের পরের টেস্টে ভালো করা দরকার। আশা করি, পরের টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো করতে পারব আমরা।’

Be the first to comment on "জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন মুশফিক"

Leave a comment

Your email address will not be published.




11 − 3 =