গুলশানে গুলির ঘটনায় মামলা

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গুলশান-১ এলাকার গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশে গুলির ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে। গুলির ঘটনায় আহত আমিনুল ইসলাম রোববার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মামলা করেন। এই মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, মনির আহমেদ ও মো. আরিফ হোসেন।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুলশান থানার ওসি ফরমান আলী। তিনি বলেন, বিকাশ করে টাকা না দেওয়ায় ওমান প্রবাসী আরিফ হোসেনকে গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশের একটি বিকাশ দোকানের মালিক হাবিবুর রহমান আলিফ আটকে রাখেন। ফোন পেয়ে মনির আহমেদ ও মিন্টুসহ ৪-৫ ঘটনাস্থলে এসে আরিফকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা। কিন্তু দোকানিরা বাধা দিলে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্র বের করে সাত-আট রাউন্ড গুলি ছোড়েন মিন্টু।

ফরমান আলী বলেন, তার ছোড়া গুলিতে আমিনুল ইসলাম ও রহিম নামে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় আরিফ হোসেন, তার ভগ্নিপতি মনির হোসেন ও মিন্টুকে আটক করা হয়। রাতেই ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম গুলশান থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদনসহ আজ (সোমবার) তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গতকাল (রোববার) রাতে গুলশান থানায় উপস্থিত হয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ বলেন, রোববার আনুমানিক বিকেল ৪টার দিকে গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশে আলফা স্টোর নামে একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আরিফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করেন। বিকাশ করার সময় তিনি প্রথমে দোকানদারকে বলেন, আপনি ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করেন আমি টাকা দিচ্ছি। দোকানদার বিকাশ করার পর তিনি ৭৫ হাজার টাকা দিতে পারেননি। যেহেতু তিনি টাকা দিতে পারছিলেন না, তখন দোকানদার তাকে আটক করে বলেন, তুমি টাকা না দিয়ে যেতে পারবে না। এ অবস্থায় আরিফ তার ভগ্নিপতি মনির আহমেদকে ফোন করেন। ফোন পেয়ে মনির হোসেন তার ৪-৫ বন্ধুকে নিয়ে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আসেন।

তিনি বলেন, টাকা না দিয়ে আরিফকে নিয়ে যেতে চাইলে আশপাশের দোকানদাররা এগিয়ে আসেন। তারা বলেন, টাকা না দিয়ে আরিফকে নেওয়া যাবে না। এ সময় মনিরের সঙ্গে আসা মিন্টু তার লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে সাত-আট রাউন্ড গুলি ছুড়ে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা সাতটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছি।

আব্দুল আহাদ বলেন, মিন্টুর ছোড়া গুলি আমিনুল ইসলাম নামের এক গাড়িচালকের চালকের পায়ে লাগে। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় আব্দুর রহিম নামে আরও এক ভ্যানচালকের পায়ে গুলি লাগে। এ সময় পাশে টহল দিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা মিন্টুকে অস্ত্রসহ আটক করেন।