জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায় এড়াতে পারে না: র‌্যাব

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার : গত ২০ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আনসার আল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোগীরা। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায় এড়াতে পারে না বলে মনে করছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা বলেন।

তিনি আরো জানান, পলাতক এই জঙ্গিদের গ্রেফতারে এনএসআই-সহ দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সঙ্গে র‌্যাবও কাজ করছে। ছিনিয়ে নেয়া দুই জঙ্গির মধ্যে একজন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪)। সে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। আর অপর জন আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব (৩৪)। সে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটশ্বর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।

গত ২০ নভেম্বর সকালে এই দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের হাজতখানায় রাখা হয়। হাজতখানা থেকে তাদের সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়। শুনানি শেষে হাজতখানায় নেয়ার পথে অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আট জন পুলিশের দিকে পিপার স্প্রে ছুড়ে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনসার আল ইসলামের এই দুই সদস্য ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলাতে এই দুই জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। একই বছর ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যার মামলাতেও মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত হয়েছে এই দুই জঙ্গি।