ফের শেয়ারবাজারে দরপতন

Print Friendly, PDF & Email

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : এক কার্যদিবস কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৩ নভেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ফের দরপতন হয়েছে। দুই বাজারেই কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হলো।

মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি দুই বাজারেই দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। অবশ্য দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি।

দাম অপরিবর্তিত থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা ক্রেতার অভাবে তাদের কাছে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু থেকেই ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় সাত পয়েন্ট বেড়ে যায়।

লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের সময় ১০ মিনিট না গড়াতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের সময় গাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের ঋণাত্মক প্রবণতা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বড় হতে থাকে দরপতনের তালিকা।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ২০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৩টির। আর ২৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় সাত পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় পাঁচ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৪০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪২৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১১২ কোটি টাকা।

বাজারটিতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার। কোম্পানিটির ৬৩ কোটি সাত লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেনেক্স ইনফোসিসের ৫৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- নাভানা ফার্মা, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স, ইস্টার্ন হাউজিং, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, এডভেন্ট ফার্মা, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি এক লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৬টির ও ৭৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।