স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের ফলে দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় পরিবর্তন এসেছে উল্লেখ করে এখন মানসম্পন্ন শিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউনিসেফের উদ্যোগে শিশু সুরক্ষায় প্রথম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
সায়েমা ওয়াজেদ বলেন, ‘পুরো বিশ্বজুড়েই অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, বাংলাদেশেও আছে। আমি মনে করি, আমরা শিশুরা কতটুকু সহিংসতার সম্মুখীন হয়— তা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করি না। আমরা পোস্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার নিয়ে কথা বলি। এটি অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের নীতির নির্ধারকদের জন্যও চ্যালেঞ্জ বটে। কারণ, কমিউনিটিতে এমনকি ঘরে ঘরে বুঝাতে হবে যে, সহিংসতা একটি শিশুর বিকাশে কোনো প্রকার সহায়তা করে না।’
পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধ আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘পানি থেকে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এটি নিয়ে আমাদের অনেক এনজিও কাজ করছে। শিশুদের শেখাতে হবে কীভাবে পানি থেকে নিরাপদে থাকা যায় এবং তাদের সাঁতার শেখানোর প্রয়োজন আছে।’ এ সময় সমাজকর্মী বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি ।
সায়েমা ওয়াজেদ বলেন, ‘শুধু সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে শিশুদের জন্য বিনিয়োগ করলে হবে না। আমাদের প্রত্যেককে এ নিয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে অনেক এলাকায় এমন মানুষ আছেন, যারা সত্যিই জানেন না শিশুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে। ঢাকার দিকে তাকালে দেখা যায়, শিশুদের জন্য নিরাপদ খেলার জায়গা কোথায়? প্রত্যেকটি শিশু সম্ভাবনাময় এবং প্রত্যেকটি শিশু যেন সমাজে কিছু না কিছু কন্ট্রিবিউট করতে পারে, আমাদের শুধু সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শিশুরা নীতি নির্ধারণ করে না, তারা পরিবেশও তৈরি করতে পারবে না। পরিবেশ আমরা তৈরি করি এবং শিশুরা তাতে সন্নিবেশিত হয়।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডোন ইয়েট প্রমুখ।