আবু হেনা রনির চিকিৎসায় সব রকম সহায়তার আশ্বাস জিএমপি’র

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরে পুলিশের অনুষ্ঠানে বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমানের চিকিৎসা সহায়তায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম। ওই ঘটনায় দগ্ধদের দেখেতে এসে তিনি এই কথা বলেন।

গাজীপুরের ঘটনায় দগ্ধ দুই জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বার্ন ইউনিটে এসে তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন জিএমপি কমিশনার। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। আবু হেনা রনি ও জিল্লুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের কাছে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

এ সময় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আহতদের চিকিৎসায় ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।’

আবাসিক চিকিৎসক ডা. আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘আবু হেনা রনির শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার শ্বাসনালি পুড়ে গেছে এবং এক পাশের কানও পুড়ে গেছে। এছাড়া পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের শরীরের ১৯ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। তারও শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আমরা এখনও তাদের শঙ্কামুক্ত বলতে পারছি না।’

এর আগে, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান চলাকালে বেলুন বিস্ফোরণ হয়ে পাঁচ জন দগ্ধ হয়। এ সময় দগ্ধ হন কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, গাজীপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন, গাছা থানার কনস্টেবল রুবেল মিয়া, টঙ্গী পূর্ব থানার কনস্টেবল জিল্লুর রহমান এবং গাছা থানার আরেক কনস্টেবল মো. ইমরান হোসেন। ঘটনার পরপরই দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমানকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ক্রাইম উত্তর উপ-পুলিশ কমিশনারকে সভাপতি করে চার সদসের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।