মহামারীর শেষ দেখা যাচ্ছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

Print Friendly, PDF & Email

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোভিড-১৯ মহামারীর ইতি টানতে বিশ্ব এর চেয়ে ভালো অবস্থানে আর কখনোই ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস। দুই বছর ধরে বিশ্বজুড়ে দাপট দেখিয়ে ৬০ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে এটাই এখন পর্যন্ত তার সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক বক্তব্য।

‘আমরা এখনও সেখানে পৌঁছাইনি। কিন্তু শেষ দেখা যাচ্ছে,’ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক সাংবাদিকদের এমনটাই বলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং তিনমাস পর থেকে কোভিড-১৯ কে মহামারী বলতে শুরু করার পর জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থার সর্বশেষ এ মূল্যায়ন বিশ্বকে আশা দিচ্ছে।

চীনে ২০১৯ সালের শেষদিকে আবির্ভূত হওয়া নতুন করোনাভাইরাস এরই মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৬৫ লাখ লোকের মৃত্যুর কারণ হয়েছে, আক্রান্ত করেছে ৬০ কোটির বেশি মানুষকে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সদম্ভ পদচারণা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ওলটপালট করে দিয়েছে, দেশে দেশে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনাকে ভয়াবহ চাপের মুখে ফেলেছে।

তবে টিকার উদ্ভাবন এবং ব্যাপক হারে টিকাদান কর্মসূচি ও নানান থেরাপি মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি কমিয়ে আনতে সহায়তা করেছে; গত বছর আবির্ভাব ঘটা করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট রোগের তীব্রতাও কমিয়ে এনেছে।

২০২০ সালের মার্চের পর গত সপ্তাহেই বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এ সবচেয় কম মৃত্যু হয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে বুধবারও সংস্থাটির প্রধান বিশ্বের সবগুলো দেশকে কোভিড নিয়ে সতর্কতা অব্যাহত রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন, আর মহামারীকে তুলনা দিয়েছেন ম্যারাথন দৌড়ের সঙ্গে।

“আমরা যেন (শেষের) দাগ অতিক্রম করতে পারি তা নিশ্চিত করতে এবং আমাদের সবার কঠোর পরিশ্রমের ফসল গোলায় ‍তুলতে এখন সময় জোরে দৌড়াবার,” বলেছেন গ্যাব্রিয়েসুস।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থার এ মহাপরিচালক বলেন, দেশগুলোর উচিত তাদের নীতি কঠোরভাবে পর্যালোচনা করা এবং কোভিড-১৯ কিংবা ভবিষ্যতে আসা ভাইরাস মোকাবেলার উপযুক্ত করে তৈরি করা। বেশি ঝুঁকিতে থাকা গোষ্ঠীগুলোতে শতভাগ টিকাদান এবং ভাইরাস শনাক্তে নিয়মিত পরীক্ষা চালিয়ে যেতেও দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।