অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রফতানি বাণিজ্য বহুমুখী করতে ‘মার্চেন্টিং ট্রেড’ নীতিমালা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে এখন থেকে হংকং ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশের ট্রেডাররা বাইরের কোনও দেশের পণ্য বা সেবা কিনে অন্য দেশে রফতানি করতে পারবেন।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে।
জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্চেন্টিং ট্রেড চালু আছে। বিশ্বব্যাপী এ ধরনের ব্যবসা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বাংলাদেশে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা জরুরি ছিল। নতুন নীতিমালা হওয়ায় রফতানি বাণিজ্য প্রসার ঘটবে। এখন হংকং ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশের ট্রেডারেরা ব্যবসা করতে পারবেন। এতে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে।
প্রসঙ্গত, প্রচলিত রফতানি নীতি অনুযায়ী, ভিন্ন দেশ থেকে পণ্য ও সেবা সংগ্রহ এবং ওই দেশ থেকে পণ্য চালান ও সেবা সরাসরি তৃতীয় কোনও দেশের ক্রেতার কাছে সরবরাহ করাকে ‘মার্চেন্টিং ট্রেড’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। অর্থাৎ মার্চেন্টিং ট্রেড হচ্ছে— বাংলাদেশি মধ্যস্থতাকারীকে জড়িত করে এক ভিন দেশ থেকে অন্য ভিন দেশে পণ্য চালান বা রফতানির ব্যবস্থা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, মার্চেন্টিং ট্রেডের আওতায় রফতানি কার্যক্রমে ইএক্সপি ফরমের প্রয়োজন হবে না। একইভাবে আমদানির জন্য প্রযোজ্য আইএমপি ফরম ভিন্ন দেশ থেকে পণ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে না। বৈদেশিক উৎস থেকে পাওয়া আয় দিয়ে আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা যাবে। একইসঙ্গে বিদেশ থেকে গৃহীত বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানি ব্যয় নির্বাহের সুযোগ সার্কুলারে রাখা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যাংক কোনও ধরনের পরিশোধ নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।
রফতানি বাবদ প্রাপ্ত আয় থেকে দায় পরিশোধের পর স্থানীয় ব্যয় ও মুনাফা বাবদ সন্তোষজনক মার্জিন থাকতে হবে।