আশুরায় নাশকতার আশঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার : আশুরাকে ঘিরে নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে পুরান ঢাকার হোসেনি দালালের ইমামবাড়া পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলা হয়। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। ওই ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি মামলা হয়। উপপরিদর্শক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

ওই হামলার পর থেকে প্রতিবছর আশুরার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেয়া হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে। এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশুরাকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

বৃহস্পতিবার হোসেনি দালান এলাকা পরিদর্শনের পর ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ইতোমধ্যে আয়োজক কমিটির সঙ্গে আমরা আলাদা আলাদা বৈঠক করেছি। যেসব স্থানে আশুরা পালন করা হয় তার আশপাশে চেকপোস্ট ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। থাকবে গোয়ান্দা তৎপরতাও। এছাড়াও যেসব স্থানে তাজিয়া মিছিল বের হবে সেখানে ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিস্পোজাল ইউনিট থাকবে। যেসব রাস্তা দিয়ে মিছিল হবে সেই পুরো রাস্তাটা নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা হবে।’

শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘হোসেনি দালানের আশপাশের এলাকার ছাত্রাবাস ও মেসগুলো আশুরার সময় নজরদারির আওতায় আনা হবে। সেগুলোতে নিয়মিত তল্লাশি চালানো হবে। গুজব এড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নজরদারি বাড়ানো হবে। কেউ উল্টাপাল্টা কোনো বিভ্রান্তি ছড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তাজিয়া মিছিলকে ঘিরে সৃষ্ট যানজট মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘লক্ষাধিক মানুষ তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এর জন্য কিছু কিছু রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। আশা করি সবাই এটা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবেন।’

টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রধান বলেন, ‘ঘটনা টাঙ্গাইলে ঘটলেও আসামিদের গ্রেফতার করতে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ তৎপর রয়েছে। বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা রোধে প্যানিক বাটন বসানোর কথা থাকলেও ঢাকার কিছু কিছু বাসে তা বসানো হয়েছে। এর পেছনে যে খরচ তা বহনে বাস মালিকরা রাজি না হওয়ায় সব বাসে বসানো সম্ভব হয়নি।’

শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘যে সমস্ত এলাকায় নারী শ্রমিকরা বেশি কাজ করে সেসব এলাকার বাসের চালক ও হেলপারের ছবিসহ জীবনবৃত্তান্ত ও বাসের নাম্বার লিখে রাখলে আপরাধীদের ধরতে পুলিশ ভালো কাজ করতে পারবে।’