দেশে প্রতি বছর তিন লাখ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে প্রতি বছর তিন লাখ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও নবনির্মিত আইসিইউ ২ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

জাহিদ মালিক বলেন, দেশে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও যক্ষ্মা রোগ এখনও যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় তিন লাখ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়। ২০৩০ সাল নাগাদ আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। একেবারে যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করতে না পারলেও আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। আমরা জানতে পেরেছি গত বছরগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার লোক এ রোগে মারা যেত, এখন সেটা কমে বছরে ২৯ হাজার লোক মারা যায়। এ সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। যক্ষ্মায় মৃত্যুর হার আমাদের আরও কমিয়ে আনতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রামক ব্যাধিগুলো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কিন্তু অসংক্রামক রোগগুলো দেশে বেড়েছে। দেশে যত লোক মারা যায় তার ৭০ শতাংশ অসংক্রামক রোগে মারা যায়। যার মধ্যে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার ও শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শ্বাসতন্ত্রের যে রোগগুলো রয়েছে তার অন্যতম কারণ তামাক। আমাদের দেশে প্রায় ৫০ শতাংশ লোক তামাকজাত পণ্য গ্রহণ করে। এখন তামাক গ্রহণের সংখ্যা কমে ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে। পানের সঙ্গে তামাক গ্রহণের ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হয়। পাশাপাশি আমাদের যে বায়ুদূষণ হয় সেটাও শ্বাসতন্ত্রের রোগের অন্যতম একটি কারণ। সুতরাং ভবিষ্যতে আমাদের এসব রোগের আরও ভালো চিকিৎসা দিতে হবে।

বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মু. সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম আ আজিজ প্রমুখ।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের শুভ উদ্বোধন করেন।