নুসরাত হত্যার রায়ের প্রশংসা করতে বিএনপি কুণ্ঠিত : কাদের

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : নুসরাত হত্যার রায়ের প্রশংসা করতে বিএনপি কুণ্ঠিত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সময়ে দলের লোকজন অপকর্ম করলে মামলা করতেই পারতো না। আর নুসরাত হতাকাণ্ডে দলের লোকজনও আছে এবং তাদেরও ফাঁসি হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশের কী হলো এ নিয়ে মির্জা ফখরুল আবোল তাবোল বকছেন, কিন্তু এত দ্রুত একটা মামলার বিচার শেষ হয়েছে ১৬ জনের সবারই ফাঁসির রায় হয়েছে। এর প্রশংসাটা বিএনপি করতে কুণ্ঠিত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের জাতীয় কাউন্সিল আসছে। আওয়ামী লীগ নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে সুশৃঙ্খল সু-সংগঠিত দল। আওয়ামী লীগের সম্মেলন মানেই কিছু নতুন মুখ আসবে। পুরনোদের কারও কারও দায়িত্বে পরিবর্তন হবে। এখানে বয়স অনুযায়ী যে যেমন কাজ করতে সমর্থ সেভাবেই সাজানো হয়। এখানে অভিজ্ঞতা ও শক্তি দুটোরই দরকার রয়েছে।

তিনি বলেন, নিয়মিত সম্মেলনের মাধ্যমে দলে নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে নেতৃত্বের মধ্যে নব জাগরণ তৈরি হয়। সেটা দলের জন্য খুবই প্রয়োজন। ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, আপনারা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে থাকুন। নেত্রীর সঙ্গে আলাপ করে তারিখ জানানো হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, হাওয়া ভবনের নেতৃত্বে দেশের সব অপকর্ম হয়েছিল। একজন অপরাধিকেও তখন বিচারের আওতায় আনা হয়নি। কিন্তু আমরা সাংগঠনিক এবং প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন অপকর্মকারীকে আইনের আওতায় আনছি। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ফ্রি হেন্ড দেয়া হয়েছে। বিএনপি আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের লোকজনের দুর্নীতির বিষয়ে নির্বিকার ছিল। মির্জা ফখরুল সাহেব আপনারা একটা উদাহরণ কি দেখাতে পারবেন? কোন অপরাধীকে শাস্তি দিয়েছেন?

কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে, সংশোধন করার সৎ সাহস আছে। আমার দলের কোনো নেতাকর্মী ভুল করলে অপকর্ম করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।

তিনি বলেন, চলমান শুদ্ধি অভিযানকে যদি বিএনপি স্বাগত জানাতো তাহলে বুঝতাম তাদের ইতিবাচক রাজনীতির প্রতি আস্থা আছে। সব কিছু নেতিবাচক চোখে দেখা বিএনপির চরিত্র, বিএনপি সরকারের সমালোচনা ছাড়া আর কিছুই দেখে না।

ওয়ার্ডের মাস্তানরাই অনুপ্রবেশকারী জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে আচরণ যদি ভালো না হয়, এ উন্নয়নের কোনো দাম থাকে না। একটি ওয়ার্ডের সব উন্নয়ন হয়েছে, সেখানে দু-একজন মাস্তানের জন্য মানুষ কষ্ট পায়, দু -একজন দলীয় পরিচয়ে মাস্তানি করে, এরাই অনুপ্রবেশকারী। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। এখন বিতর্কিত লোক এনে যদি পকেট ও দল ভারি করেন তাহলে দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি দিয়েও দলে লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমি অনুরোধ করবো বিতর্কিত লোকদের নিয়ে দল করবেন না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আসছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। প্রতিপক্ষ আটঘাট বেঁধে নামবে। তারা ঐক্যবদ্ধ হলে অনেক শক্তি আছে তাদের। প্রতিপক্ষকে দুর্বল মনে করবেন না। প্রতিপক্ষ আর কিছু না পারুক ষড়যন্ত্রে ওস্তাদ, বিএনপি ষড়যন্ত্রে ওস্তাদ। আপনারা থানায় থানায়, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কর্মী সভা করেন। সরকারের বিরুদ্ধে অপ্রচারের জবাব দিতে হবে।

তিনি বলেন, মাঝে মাঝে আমাদের জোটের কেউ কেউ উল্টাপাল্টা কথা বলেন। আমি বলতে চাই সরকারের অস্তিত্ব কেউ দুর্বল ভাববেন না।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।