মহালয়ায় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতার শুরু

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : মহালয়ার মধ্য দিয়ে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতার শুরু হয়েছে।
আগামী ৩ অক্টোবর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল পূজা; যা শেষ হবে ৮ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, এবার সারা বাংলাদেশে ৩১ হাজার ১০০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার মণ্ডপ বেড়েছে ১০০০টি।

ঢাকা মহানগরে এবার ২৩৭টি মণ্ডপে পূজা হবে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৩৪টি।

শনিবার হয় মহালয়া। সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিন দশভূজা শক্তিরূপে ‘মা দুর্গা’ মণ্ডপে মণ্ডপে অধিষ্ঠান করেন। মহালয়ার প্রাক সন্ধ্যায় অর্থাৎ শুক্লপক্ষের চতুর্দশীতে কাত্যায়নী মুনির কন্যা রূপে মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে।

মহালয়া পূজার মাধ্যমে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হল, বলেছেন ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রঞ্জিত চক্রবর্তী।

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবী দুর্গা আসছেন ঘোটকে চড়ে, যাবেনও ঘোটকে চড়ে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত ধীমান দাস বলেন, “দেবীর ঘোটকে আগমন মানে সবকিছু ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া। এর মানে দেবী আমাদের এক সতর্কবার্তা দিয়েই আসছেন। সুখ দুঃখকে পাশাপাশি রেখে আমরা পথ চলব।”

হিন্দু আচার অনুযায়ী, মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা- এই তিন পর্ব মিলে দুর্গোৎসব।
মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হয় দেবীপক্ষের। এর আগের পক্ষ হলো পিতৃপক্ষ। এই পক্ষে ভক্তরা তাদের পূর্বপূরুষের আত্মার প্রীতির জন্য অন্ন-জল নিবেদন করে থাকেন। শাস্ত্রে একে বলা হয় তর্পণ।

শনিবার ভোর থেকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ সারাদেশে শুরু হয় মহালয়ার আচার-অনুষ্ঠান। ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজার মাধ্যমে শুরু হয় মহালয়ার আনুষ্ঠানিকতা।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আসেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস। তবে তিনি সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।

প্রথমে চণ্ডীপাঠ করে দেবীকে আহ্বান জানানো হয়। এ সময় মঙ্গলঘট স্থাপন করে তাতে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা করা হয়। এছাড়া সারাদিন চলবে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা।

আগামী ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় হবে দেবী দুর্গার বোধন। ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় দুর্গাদেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে পূজার মূল আচার অনুষ্ঠান শুরু হবে।

৫ অক্টোবর সকালে নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনের পর শুরু হবে মহাসপ্তমী পূজা। ৬ অক্টোবর মহাঅষ্টমী পূজা, সেদিন হবে সন্ধিপূজা । রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে হবে কুমারী পূজা।

৭ অক্টোবর সকাল বিহিত পূজার মাধ্যমে হবে মহানবমী পূজা। ৮ অক্টোবর সকালে দর্পন বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।