হাওরে নৌকাডুবি : নিহত বেড়ে ১০

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের কালিয়াকুটা হাওরে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কালিয়াকুটা হাওরের করমা বিল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় ডুবুরি দল ও এলাকাবাসী চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। বুধবার সকালে একই বিলে আরও চারজনের মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহতরা হলেন- দিরাইয়ের মাছিমপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে শামীম (৩), একই গ্রামের বদরুল মিয়ার ছেলে আবিদ (৪), নোয়ারচর গ্রামের আফজালের ছেলে সোহান (২), চরনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে আজম (২), মাছিমপুর গ্রামের আরজ আলীর স্ত্রী রহিতুন নেছা (৩৫), একই গ্রামের জাসদ মিয়ার মেয়ে শান্তা বেগম (৪), চরনাচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামের করিমা বেগম (৬২), নোয়ারচর গ্রামের আসাদ মিয়া (৬), নোয়ারচর গ্রামের আফাজালের স্ত্রী আজিরুন নেসা (৩০) ও নাছিমপুর গ্রামের আরজ আলীর মেয়ে তাছনিমা (১১)।

দিরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় ডুবুরি দল ও এলাকার লোকজন ছোট ছোট নৌকা নিয়ে বিলে তল্লাশি চালিয়ে চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। বুধবার আরও ছয়জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রাম থেকে গ্রামের হাবলু মিয়ার পরিবারের লোকজন পার্শ্ববর্তী চরনাচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা ছাউনিবিহীন খোলা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় মাছিমপুর থেকে পেরুয়া গ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরে কালিয়াকুটা হাওরে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। আশপাশের গ্রামের লোকজন নৌকা নিয়ে অন্যদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত শিশুসহ আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

চরানারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাশ বলেন, গতকাল চারজনের ও আজ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।