চলার পথ সহজ ছিল না আশা ভোঁসলের

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : ভারতের অন্যতম সেরা গায়িকা আশা ভোঁসলে, যাকে বলা হয় ‘সুরের মল্লিকা। গতকাল তিনি ৮৬ বছরে পা রাখেন। ১৯৩৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তার জন্ম। মাত্র ১০ বছর বয়সে গানের জগতে পা দিয়েছিলেন তিনি। তার দিদি লতা মঙ্গেশকরের সাথে ‘চলা চলা নাও’ গানটি দিয়ে তার শুরু। তিনি তার জীবনে ১২ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন।

কিন্তু আশা ভোঁসলের চলার পথ খুব সহজ ছিল না। ১৯৮৪ সালে প্রথম সিনেমায় গান আশা ভোঁসলে। ‘চুনরিয়া’ নামক এই সিনেমার ‘সাওন আয়া রে’ গানে তিনি জোহরাবাই অম্বালেবালি এবং গীতা দত্তের সঙ্গে গান। এরপর শিগগিরই ১৬টি গানের সুযোগ পান তিনি। ১৬ বছর বয়সে ‘রাত কি রানী’ (১৯৪৯) সিনেমায় ‘হ্যা মৌজ মে আপনে বেগানে’ গানটি গান তিনি। ১৯৪৮ থেকে শুরু করে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি গান অসংখ্য গান।

তার বয়স যখন কম ছিল, তখন জনপ্রিয়তাও ছিল কম। ফলে খুব নামীদামি সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ পাননি তিনি। তিনি যে সময় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, সেসময় গানের জগতের ধ্রুবতারা ছিলেন গীতা দত্ত, শমশাদ বেগম, লতা মঙ্গেশকরের মতো গায়িকারা।

বলা হয়, যেসব গান কেউ গাইত না, সেই গান গাওয়ার দায়িত্ব দেয়া হোত আশাকে। তবে তিনি পরাজয় স্বীকার করেননি, যে দায়িত্ব তিনি পেতেন, সেই দায়িত্ব হাসি মুখে মন দিয়ে পূরণ করতেন।

কিন্তু ১৯৫৭ সালের পর তার জীবনে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, ‘তুমসা নেহি দেখা’ (১৯৫৭), ‘লাজবন্তি’ (১৯৫৮), ‘হাওড়া ব্রিজ’ (১৯৫৮) এবং ‘চলতি কা নাম গাড়ি’র (১৯৫৮) মতো একের পর এক সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ পান তিনি এবং জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।

প্রথম থেকেই খুবই বেপরোয়া জীবনযাপন করেন আশা ভোঁসলে। যে কারণে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই বাড়ির লোকেরা রাজি না থাকা সত্ত্বেও গণপতরাওকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার বিবাহিত জীবন সুখের না হওয়ায় কিছুদিন পর সব ছেড়ে দিয়ে নিজের বাড়ি চলে আসেন। সেই সময় তিনি তিন সন্তানের মা। ১৯৮০ সালে বিখ্যাত সুরকার আর ডি বর্মন, হরফে পঞ্চম দাকে বিয়ে করেন তিনি। দুজনেরই দ্বিতীয় বিবাহ ছিল এটা।

সূত্র : এনডিটিভি