ভারতে বন্যায় ২৪৪ প্রাণহানি

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় জারি করা হয়েছে বন্যা সতর্কতা। রাজ্যটিতে এবারের বন্যায় এখন পর্যন্ত ৯৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৌসুমী বৃষ্টিপাত থেকে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে গোটা ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৪ জনে।

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার রাজ্য সরকার কেরালার বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণ হবে। কেরালার কিছু এলাকার বন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

টানা ভারী বর্ষণের কারণে ভারতের চার রাজ্য ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। রাজ্যগুলো হলো কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট। ওই চারটি রাজ্যের ১২ লাখ মানুষ এখন গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের বেশিরভাগই সরকার পরিচালিত রিলিফ ক্যাম্পে বসবাস করছেন।

গত বছর শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে কেরালা। সেবার বন্যায় ৪৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়। বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ঘরবাড়িসহ সরকারি অবকাঠামো যেমন রেলওয়ে এবং সড়ত মেরামতের কাজ এখনো শেষ হয়নি।

এবারের বন্যায় এখন পর্যন্ত কেরালায় ৯৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও প্রায় ৫৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। কেরালা পুলিশ বুধবার ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপিক এ তথ্য জানিয়েছেন। আরও বেশ কিছু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে সেখানে।

এ ছাড়া পাশের রাজ্য কর্ণাটকে বন্যায় ৫৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বন্যা কবলিত ৬ লাখ ৭৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে সেখানকার রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, কর্ণাটকের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র মিলে এবারের বন্যায় ৯১ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বন্য কবলিত এলাকাগুলোতে থেকে লাখ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সেখানে আরও মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা এখনও রয়ে গেছে।

মহারাষ্ট্রের পুনে শহরের বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার দ্বীপক মাইশেকার গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘সাংলি, কোলহাপুর, সাতারা এবং পুনে থেকে আমাদের উদ্ধারকারী দল ৪৯টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পানিতে ডুবে নয়তো দেয়াল ধসে।’

পুলিশের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা, বিমান এবং নৌবাহনী মোতায়েন করেছে ভারত। তারা স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে মিলে উদ্ধার, নিরাপদে সরিয়ে আনা আনা রিলিফ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।