পুঁজিবাজারে বড় ধস

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : ঋণের লাগাম টানতে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ আমানতের অনুপাত (এডিআর) কমানোর পর থেকেই দেশের শেয়ারবাজারে নেতিবাচক অবস্থা বিরাজ করছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক আতঙ্ক। সব মিলিয়ে একটি ক্রান্তিকালের মধ্যে পড়েছে শেয়ারবাজার। অবস্থা এতটাই ভয়াবহতায় রূপ নিয়েছে রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বড় ধস হয়েছে।

দুই বাজারেই সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। ২০১০ সলের মহাধসের পর দেশের শেয়ারবাজারে সম্প্রতি এত বড় পতন আর হয়নি। ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩৩ পয়েন্ট। আর সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স কমেছে ২৪৩ পয়েন্ট।

মূল্য সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মাত্র ২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০২টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, এডিআর কমানোর কারণে অনেক ব্যাংকের ঋণ বিতরণে সমস্যা হবে। ফলে ব্যাংক আবার উচ্চ সুদে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করবে। বেড়ে যাবে আমানতের সুদ হার। সেই সঙ্গে বাজারে কমে যাবে অর্থের প্রবাহ। এ কারণেই নিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। যার ফলে বড় দরপতন ঘটেছে।

ডিএসইর পরিচালক শরিফ আতাউর রহমান বলেন, বাজারে অর্থের অভাব দেখা দিয়েছে, সে কারণেই হয়তো এমন দরপতন হচ্ছে। এর বাহিরে কি কারণ আছে আমার জানা নেই।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, রবিবার ডিএসইতে লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৩৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯১ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে।

বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩২৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে ৩৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ১৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- বেক্সিমকো, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু সিরামিক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, উসমানিয়া গ্লাস এবং ইফাদ অটোস। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ২৪৩ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৫টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির।

Be the first to comment on "পুঁজিবাজারে বড় ধস"

Leave a comment

Your email address will not be published.




4 + ten =