রাখাইনে শরণার্থী শিবিরে অবাধ প্রবেশের সুযোগ চায় জাতিসংঘ

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : প্রত্যাবর্তনের আগে হাজার হাজার রোহিঙ্গার আশ্রয়ের জন্য রাখাইনে নির্মিত শরণার্থী শিবিরগুলোতে দাতা সংস্থাগুলোর অবাধ প্রবেশের অনুমতি দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের মংডু শহরের পাশের তুং পিইয়ো লেতওয়ে শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গিয়ে আন্তর্জাতিক একটি প্রতিনিধি দল এ আহ্বান জানিয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কর্দমাক্ত মাঠে শরণার্থীদের জন্য পাতলা কাঠে নির্মিত ঘরগুলো অনেক দীর্ঘ। তারের বেড়ায় ঘেরা এসব ঘর।

রাষ্ট্রহীন লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে যাচাই-বাছাই ও প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থাকায় মঙ্গলবার প্রত্যাবাসন বিলম্বের তথ্য জানায় বাংলাদেশ। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অভাব এখনো রয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইউনিসেফের উপ-নির্বাহী পরিচালক জাস্টিন ফরসিথ বলেছেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত মিয়ানমারে ফিরে আসা কোনো শিশুর নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত না করা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রত্যাবাসনের আলোচনার কোনো মূল্য নেই।’

এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, দাতা সংস্থা, গণমাধ্যম ও অন্যান্য স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের প্রবেশে সেখানে এখনো বাধা রয়েছে। রাখাইনে দাতাসংস্থাগুলোর অবাধ প্রবেশের সুবিধা দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি। একই সঙ্গে রাখাইনের সঙ্কট নিরসনে প্রকৃত ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার জেরে সেনাবাহিনী ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু করে। নৃশংস এ অভিযানে ৬ লাখ ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে।

রক্তাক্ত অভিযানের সময় বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন, ধর্ষণ ও তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

সূত্র : রয়টার্স।

Be the first to comment on "রাখাইনে শরণার্থী শিবিরে অবাধ প্রবেশের সুযোগ চায় জাতিসংঘ"

Leave a comment

Your email address will not be published.




7 − four =